দৈনিকবার্তা– সৈয়দপুর,২৭অক্টোবর: উত্তরের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রাণঘাতি ইবোলা ভাইরাস সতর্কতায় কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি৷ ফলে ইবোলা ঝুঁকির আশংকা করছেন চিকিত্সকরা এবং এই ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরে চেকপোষ্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন৷ সৈয়দপুরসহ উত্তরাঞ্চলে আসা বিদেশী যাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই এ অঞ্চলে প্রবেশ করছে৷ একইভাবে ভারত থেকে বিদেশী নাগরিক স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসছেন৷ এসব নাগরিক সৈয়দপুর বিমানবন্দর দিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন৷ অথচ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ইবোলা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা চালু করা হয়নি৷ ফলে সৈয়দপুরসহ এই অঞ্চল ইবোলা ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা করছেন চিকিত্সকরা৷
জানা যায়, এ অঞ্চলে অবস্থিত নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে বিভিন্ন দেশের বিদেশী নাগরিকরা কর্মরত আছেন৷ এছাড়া উত্তরা ইপিজেডে বিদেশী পণ্য ক্রেতারাও হরহামেশা আসছেন ফ্যাক্টরিগুলোতে৷ এসব নাগরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অবাধে যাতায়াত করায় এ অঞ্চলে ইবোলা ঝুঁকির আশংকা করছেন স্থানীয় চিকিত্সকরা৷ তাদের অভিমত, আকাশপথে উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র পথ সৈয়দপুর বিমানবন্দর৷ এই পথে দেশী যাত্রীর চেয়ে বিদেশী যাত্রী বেশি যাতায়াত করে থাকেন৷ সরকার বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইবোলা প্রতিরোধে চেকপোষ্ট বসিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন৷ এ অবস্থায় স্থানীয় চিকিত্সকরা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দ্রুত চেকপোষ্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন৷
এ ব্যাপারে বিএমএ সৈয়দপুর শাখার সভাপতি বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. শেখ নজরুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে আফ্রিকাসহ অনেক দেশের বিদেশী নাগরিকরা রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় যাতায়াত করেন৷ সে কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জরুরী ব্যবস্থা নিয়ে বিদেশী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে৷ সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার শাহীন আহমেদ বিমানবন্দরে বিদেশী যাত্রী চলাচলের সত্যতা জানিয়ে বলেন, ইবোলা জীবানুবাহী ব্যক্তি সনাক্ত করতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. স্নেহকান্তি চাকমা মুঠোফোনে জানান, তার দপ্তরে সরকারিভাবে নির্দেশনা আসেনি, নির্দেশনা আসলেই ইবোলা ভাইরাস সনাক্তে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি৷