Rijvi

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৬অক্টোবর: ত্রাণ ও দর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি বলেছেন, হরতাল অবরোধের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে ঢাকা অচল করতে চাইলে তার ভয়াবহ পরিনতি হবে৷তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী ঢাকাকে অচল করার কথা বলেছেন৷ ঢাকা অচল হলে তিনিও সচল থাকতে পারবেন না৷তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের রৰার যতই ষড়যন্ত্র করেন তাদের তিনি বাঁচাতে পারবেন না৷ তাদের বিচার যেমন হবে তেমনি রায়ও কার্যকর হবে৷

তিনি রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ২২ টি সংগঠনের সমন্নয়ে গঠিত সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমমনা কয়েকটি ইসলামী দলের আহুত হরতালের প্রতিবাদে আয়োজিত হরতাল বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷

জোটের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরম্নল ইসলাম এমপি৷এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমূখ৷

মায়া বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে ৭১, ৭৫ এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের খুনীদের কোন আলোচনা হতে পারে না৷ তাই তাদেও সাথে কোন সংলাপ হবে না৷তিনি বলেন, কোন হুমকি-ধুমকি দিয়ে লাভ হবে না৷ ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না৷তিনি বলেন, যারা ২০১৯ সালের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিবা স্বপ্ন দেখছে তারা মূর্খ৷ কেননা সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ কারো অলীক কোন স্বপ্ন দেখে লাভ হবে না৷

মায়া বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে কোন হরতাল হয়নি৷ তবে হরতালের নামে কোন নিরীহ লোকের ওপর বোমা মারা হলে যে হাত দিয়ে বোমা মারা হবে সে হাত গুড়িয়ে দেয়া হবে৷তিনি বলেন, হরতালের নামে যারা বোমাবাজী করার নির্দেশ এবং পরিকল্পনা করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে৷

মায়া বলেন,বেগম জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার না চাইলেও আমরা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার চাই৷ তাহলে জিয়াউর রহমানের হত্যার নেপথ্য নায়ক কে বা কারা তাদের সম্পর্কে জানা যাবে৷

বিএনপি নেত্রীকে আদালতে হাজিরার হাত থেকে বাঁচাতে ইসলামী দলগুলো হরতাল দিয়েছে বলে অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের মতো নাশকতার চেষ্টা করা হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে৷বিএনপির আন্দোলনের ভাঙ্গা ক্যাসেট শুনতে শুনতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম৷

তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় দলীয় নেতাকমর্ীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন৷মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তি এক হয়েছে- এ কথা উল্লেখ করে কিামরুল বলেন, আমাদের সবাইকে অতন্দ্র প্রহরীর মত সজাগ থাকতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে হবে৷ শেখ হাসিনা বাঁচলে আমরা বাচঁবো৷ ওদের টার্গেটই শেখ হাসিনা৷ বিএনপি ও জামায়াত আলাদা নয়৷ এই অপশক্তির বিরম্নদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে৷কামরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কিছু করতে পারবে না বিএনপি৷ ২০১৩ সালের মতো সহিংস অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেয়া হবে না৷

তিনি বলেন, সংলাপের আহ্বান আর আন্দোলনের কথা -এই ভাঙ্গা ক্যাসেট আমরা আগামী চার বছর এক মাস শুনবো৷ বিগত ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যনত্ম শুনেছি৷ এই ভাঙ্গা ক্যাসেট শুনতে শুনতেই আমাদের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবে৷ বিএনপি কোন আন্দোলন করতে পারবে না৷কামরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন করতে আদর্শবান কর্মী লাগে৷ তাদের আসল চরিত্র আমরা ২০১৩ সালের শেষের দিকে দেখেছি৷ কাজেই আমাদের সজাগ থাকতে হবে৷ আবার যদি তারা আগের রূপে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করে- কোন অবস্থাতেই আর ছাড় নয়৷বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনারা বলছেন, জনগণ আপনাদের সাথে আছে৷ জনগণের সমর্থন মাপার ব্যারেমিটার কি আপনাদের হাতে আছে নাকি?

মানবতাবিরোধী অপরাধী ও জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মৃতু্যর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একটা ষন্ত্রণা নিয়ে বিএনপি এখন আছে৷ কিন্তু সেই ষন্ত্রণা তারা চেপে রাখতে পারছেন না৷ পাকিস্তানেও গায়েবানা জানাজা হয়েছে কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছে না৷ তারা গ্যাড়াকলে পড়েছে৷ তাদের বুকে চাপা কান্না৷ এই কারণে গতকাল মির্জা ফখরুল অসংলগ্ন কথা বলেছেন৷ হয়তো আগামীকালের খালেদা জিয়ার জনসভায় তিনিও অসংলগ্ন কথা বলবেন৷সমাবেশ শেষে জোটের উদ্যোগে একটি বিশাল হরতাল বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়৷ মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং পরে তা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এসে তা শেষ হয়৷