দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৫অক্টোবর: ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের নায়ক বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷ তার ঘূর্ণিতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই ২৪০ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে৷ ৫৯ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব৷ আর দিনের শেষভাগে ব্যাট হাতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবালকে হারিয়ে ২৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ৷ এখনো ২১৩ রানে পিছিয়ে মুশফিক বাহিনী৷
সাকিব আল হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে৷ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা সাকিব বিদায় করেছেন অতিথিদের ছয় ব্যাটসম্যানকে৷শনিবার দিনের তৃতীয় সেশনে জিম্বাবুয়েকে ২৪০ রানে অলআউট করায় ভালো অবদান রয়েছে জুবায়ের হোসেনের৷ অভিষিক্ত এই লেগস্পিনার নিয়েছেন দুটি উইকেট৷জবাবে দিন শেষে তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭ রান৷ শামসুর রহমান ৮ ও মুমিনুল হক ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন৷
টিনাশে পানিয়াঙ্গারার লাফিয়ে উঠা বল ঠিকভাবে খেলতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ দেন তামিম৷ সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা৷৯ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ ২১৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে৷এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে৷ দিনের প্রথম বলে কাভার দিয়ে চার মারা ভুসি সিবান্দাকে পঞ্চম বলেই মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন ১৯ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা শাহাদাত হোসেন৷
প্রথম ঘন্টায় বিদায় নেন মাসাকাদজাও৷ বিসিবির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিবের বল তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে জুবায়েরের ক্যাচে পরিণত হন তিনি৷দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে ব্রেন্ডন টেইলরকে বিদায় করে তৃতীয় উইকেটের প্রতিরোধ ভাঙেন জুবায়ের৷ তার বলে মিডঅফে তাইজুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক৷অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর বিদায় নেন সিকান্দার রাজা৷ প্রান্ত বদল করা জুবায়েরের বলে শর্ট কাভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন তিনি৷ টেইলরের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ার পর এল্টন চিগুম্বুরার সঙ্গে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি গড়েন তিনি৷অলরাউন্ডার চিগুম্বুরাকে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন সাকিব৷ তার বলে সিলি পয়েন্টে মুমিনুলের চমত্কার ক্যাচে পরিণত হন চিগুম্বুরা৷
তৃতীয় সেশনের শুরুতে বদলি এসেই ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫০ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল৷ শর্ট লেগে মুমিনুলের হাতে ধরা পড়েন আরভিন৷ব্যক্তিগত ১০ রানে জুবায়েরের বলে সাকিবের হাতে জীবন পান রেগিস চাকাবভা৷ তবে শাহাদাতের জায়গায় বল করতে এসে প্রথম ওভারেই চাকাবভাকে ফিরিয়ে দেন সাকিব৷ তার বলে স্লিপে শামসুরের হাতে ধরা পড়েন চাকাবভা৷
নিজের শেষ তিন ওভারের প্রতিটিতে একটি করে উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস খুব একটা বড় হতে দেননি সাকিব৷ জন নিউম্বুকে এলবিডবি্লউর ফাঁদে ফেলার পর পানিয়াঙ্গারাকে বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি৷অভিষিক্ত টাফাজওয়া কামুনগোজিকে শামসুরের ক্যাচে পরিণত করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস মুড়ে দেন সাকিব৷ তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে তৃতীয় সেশনে ৬১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অতিথিরা৷৬ উইকেট নিতে ৫৯ রান দেন সাকিব৷ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবারই প্রথম ৫ উইকেট নিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার৷ টেস্টে এনিয়ে ১২ বার পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি৷