দৈনিকবার্তা-খুলনা,২৪অক্টোবর: নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, খুলনা শিপইয়ার্ডে কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুনমাত্রা যোগ করবে৷তিনি শুক্রবার বিআইডবি্লউটিসি’র দু’টি কন্টেইনার ভেসেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন৷খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান একথা উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের মাটিতে সর্ব প্রথম যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করে দেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে৷ কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড তাদের দক্ষতায় নতুনমাত্রা যোগ করেছে৷তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিশীল৷ নদী পথে সহজে পণ্য পরিবহন করার জন্য কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণের এ উদ্যোগ সরকারের আনত্মরিকতার প্রমাণ করে৷
মন্ত্রী বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড নতুন নতুন জাহাজ এবং কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি জলযান শিল্পে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে৷তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সুদৃষ্টির ফলে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের অগ্রদূত খুলনা শিপইয়ার্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরির জাহাজ নির্মাণ অব্যাহত রেখে দেশের সুনাম বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে৷শাজাহান খান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আমরা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছি৷ খুলনা শিপইয়ার্ড জাতীয় অর্থনীতিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান লাভজনক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে৷ সারা বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কাজে লাগাতে সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে থ্রার্স্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছে৷
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাহাজ রপ্তানীতেও খুলনা শিপইয়ার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে৷ বর্তমান সরকারের বিচক্ষণতার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের অন্যতম সেক্টর মংলা বন্দরও আজ লোকসান কাটিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে৷অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরম্নজ্জামান, সহকারী নৌ-বাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়াল) রিয়ার এডমিরাল আর ইউ আহমেদ ও বিআইডবি্লউটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান৷ স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস ইরশাদ আহমেদ৷
কন্টেইনার জাহাজ দু’টি দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার, প্রস্থ ১৫মিটার, গভীরতা ৭ মিটার, ড্রাফট ৪ মিটার৷ জাহাজ দু’টির গতি হবে ঘন্টায় ১০ নটিক্যাল মাইল৷ এগুলো প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা হবে ১৫৮ টিইইউ৷জাহাজ দু’টি নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷