দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৩অক্টোবর:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের উদ্বোধন করা হয়েছে৷বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে এই মেশিনের উদ্বোধন করেন৷মেশিনটি ক্রয়ে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে৷
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত চিকিত্সকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, চিকিত্সার সময় রোগীর মনে আঘাত দেয়া যাবে না৷ তিনি বলেন, ভালো ব্যবহার, সহানুভূতি, দরদ ও ভালোবাসা দিয়ে রোগীকে চিকিত্সাসেবা দিতে হবে৷বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের রিউমাটোলোজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক লি.-এর চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার৷
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ জলিল চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী৷বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়৷
মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের প্রথম ব্যবহার শুরম্ন হয় যুক্তরাজ্যে ১৯৫৮ সালে৷ ব্যাপকভাবে এই মেশিনের ব্যবহার শুরম্ন হয় ১৯৯৮ সালে৷ এই মেশিনের মাধ্যমে হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ যেমন হাড়, জয়েন্ট (জোরা), মাংসপেশীর রোগসমূহ আল্ট্রাসনোগ্রাম পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যাবে৷ চিকিত্সার ফলাফলও (উন্নতি ও অবনতি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে৷ মাসকিউলোসকেলেটাল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মাধ্যমে রিউমাটোলজি রোগসমূহ যেমন গেঁটেবাত, হাড়বাত, ৰয়জনিতবাত, গাউটবাত ইত্যাদি নির্ণয় করা যাবে এবং রোগীর শরীরের জয়েন্টের ভেতর নিখুঁতভাবে ইজেকশন দেয়া ও সহজেই জয়েন্টের ভেতরে থাকা পানি বাহির করে নেয়া সম্ভব হবে৷ মেশিনটি চর্মরোগের বিষয়েও ব্যবহার করা যাবে৷