দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৩অক্টোবর: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) অব্যাহত রাখবে৷তিনি বলেন,জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজারের দেশগগুলোর জোট এই সুবিধা দিতে চেয়েছে৷মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান৷
বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২০ অক্টোবর ব্রাসেলসে ‘সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট’ শীর্ষক প্রকল্প এক পর্যালোচনা সভায় যোগদান শেষে দেশে ফিরে সফর সম্পর্কে এই সংবাদ আয়োজন করা হয়৷ ইউরোপীয় কমিশন, যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মতামত তুলে ধরেছে তা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়৷
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শ্রম খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিষয়ে গত বছর ৮ জুলাই নেয়া হয়৷ এই প্রকল্পের বাসত্মবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ইউরোপীয় কমিশন(ইসি), যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও আনত্মর্জাতিক শ্রম সংস্থার(আইএলও) প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন৷ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্রাসেলসে সভা শেষে ইউরোপীয় কমিশন, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও আইএলও আউটকাম ডকুমেন্ট হিসেবে ‘ইপ্লিমেনশন রিভিউ এন্ড স্টক টেকিং অব প্রগ্রেস গ্রহণ করেছে৷এই ডকুমেন্টে মূলত ২০১৩ সালের জুলাই মাসে থেকে তৈরী পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার সমুন্নত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ বিনির্মানে কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আরো কি কি করণীয় রয়েছে সে সকল বিষয় রয়েছে৷২০১৫ সালে সুবিধামত সময়ে এই কম্প্যাক্ট রিভিউ করা হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী৷
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,সাসটেইনেবল কম্প্যাক্ট বাসত্মবায়নে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোতে সনত্মোষ প্রকাশ করেছে পার্টনাররা৷ বিশেষকরে শ্রম আইনের পরিবর্তনের মাধ্যমে শ্রম সংগঠন ও সিবিএ করার স্বাধীনতা, ইউনিয়নের নিবন্ধন বাড়ানো, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নেয়া পদক্ষেপ, রফতানিমূখী প্রতিষ্ঠানের কারখানা ভবনের অগি্ন নিরাপত্তা ও কাঠামোগত ইন্টেগ্রিটি যাচাই ইত্যাদিতে তারা খুশি৷তবে এসব বিষয়ে আরো অগগ্রতি করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে তিনি জানান৷ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে৷ এবিষয়টি আমরা আমাদের কম্প্যাক্ট পার্টনারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ আশা করছি আগামীতে আমাদের রফতানি বাজার সম্প্রসারিত হবে ‘ বলে উলেস্নখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালের ৮ জুলাই এই সাসটেইনেবল কম্প্যাক্ট প্রকল্প নেয়ার পরে ২২ জুলাই শ্রম আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ এতে শ্রমিক ইউনিয়নের নিবন্ধন প্রদান নতুন গতি পেয়েছে৷ ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যনত্ম ২৩৬টি শ্রমিক ইউনিয়নের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে৷ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে৷ নতুনভাবে ১৮৯ জন পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে৷ ইপিজেডে শ্রমিকদের জন্য ‘ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার সংগঠন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়াতুলস্নাহ আল-মামুন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার উপস্থিত ছিলেন৷