দৈনিকবার্তা-আগৈলঝাড়া (বরিশাল),২৩অক্টোবর: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি (এরশাদ)’র কার্যালয় স্থানীয় কালী মন্দির কমিটির লোকজন ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এ নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকমর্ীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
এলাকাবাসি ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকমর্ীরা গত ৩৪ বছর পূর্বে আগৈলঝাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে সরকারি খাস ৫২ শতক জমির একাংশে টিনের ঘর নির্মাণ করে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল৷ জমির অপর অংশে কালী মন্দির, দূগা মন্ডপ, আগৈলঝাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় ও আগৈলঝাড়া প্রি-ক্যাডেট এন্ড কেজি স্কুল অবস্থিত রয়েছে৷
আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সাধারন সম্পাদক সরদার হারুন রানা, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুন্দরালী পাইক অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই কালী মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক রমনী সরকার, আ’লীগ নেতা যাদব মজুমদারের নেতৃত্বে গত ২১ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কার্যালয়টি ভেঙ্গে ১০০ গজ দূরত্বে টিন ও কাঠের মালামাল স্তুপ করে রাখে৷ এরপর মন্দিরের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করে জাপা কার্যালয়ের জায়গা দখল করে কমিটি৷ এ সময় আমরা বাঁধা দিলে প্রতিমা ভাঙ্গার মিথ্যা মামলায় জাড়ানোর হুমকির দেয় কমিটির লোকজন৷ মিথ্যে মামলার ভয়ে আমরা নেতাকমর্ীরা বাঁধা দিতে সাহস পাইনি৷
বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তৃুজা খান, ইউএনও, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইউসুফ হোসেন মোল্লা’র কাছে অভিযোগ করেছি৷’ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘এরশাদ সরকারের আমলে তত্কালীন মন্ত্রী সুনীল গুপ্ত’র সময় জাতীয় পার্টি এ অফিস ঘরটি নির্মাণ করেছিল৷ সেই থেকে ওই ঘরে জাপার নেতাকমর্ীরা দলীয় কাজকর্ম চালিয়ে আসছিল৷ জাপার অফিস ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে জায়গা দখল করে নেয়া ঠিক হয়নি৷’ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইউসুফ হোসেন মোল্লা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি’র এরশাদ সরকারের আমলে আমার নেতৃত্বে ওই সরকারি জায়গার উত্তর পাশে উপজেলা জাতীয় পার্টির অফিস ঘর নির্মাণ করি৷ ৯৬ সালে আ’লীগ সরকারের আমলে আমি আ’লীগে যোগ দিলেও অফিস ঘরটি জাপার অফিস হিসেবেই ছিল৷’ জাপার কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলে জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ও কমিটির সভাপতি রমনী সরকার বলেন, ‘ওটা জাতীয় পার্টির অফিস ছিল না৷ ওটা সুজনকাঠি ক্লাব ঘর ছিল৷ ক্লাব ঘরটি খুলে সরিয়ে রেখে মন্দিরের জায়গায় বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে৷