দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২অক্টোবর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ২০১৪ সালের মধ্যেই নির্বাচনের সূর্য দেখতে পাবে দেশবাসী৷তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই বলুক ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না৷বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে জনগণের কিছু চাওয়ার নেই৷ নর্দমার নিকৃষ্ট ময়লার চেয়েও এই সরকারকে বেশি ঘৃণা করে এ দেশের মানুষ৷ এই অবৈধ সরকারের মুখোশ জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়েছে৷ তাই সরকার এখন আতঙ্কে রয়েছে৷গয়েশ্বর বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই৷ একটি মানুষ জন্ম থেকে মৃতু্য পর্যন্ত দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা সরকার তা না করে জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে৷ সরকার জনগণের ভোটকে ভয় পায় বলেই ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সরকার ও অবৈধ সংসদ অবৈধ আইন করে টিকে আছে৷
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিজের ছায়া দেখে নিজেরাই ভয় পায়৷ তারা যে অত্যাচার, গুম, হত্যা চালিয়েছে তা বিচার আমাদের করতে হবে না৷ বিচারপতিদের ধমক দিতে হবে না, পুলিশকে নির্দেশ দিতে হবে না৷ এরাই তাদের (আ.লীগের) বিচার করবে৷ এই ভয়ে অনেক নেতারা দেশ থেকে পালানোর জন্য জন্য ভিসা নিয়েছেন৷বিএনপির এই নেতা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বের আন্দোলন ছিল অস্ত্র বিহীন৷ তারপরও গ্রাম পর্যায়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে কি বোঝা যায় না, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে কি পারে না৷
গয়েশ্বর বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই, একটি মানুষ জন্ম থেকে মৃতু্য পর্যন্ত দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা সরকার তা না করে জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে৷ সরকার জনগণের ভোটকে ভয় পায় বলেই ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করে অবৈধ সংসদ ও অবৈধ আইন করে টিকে আছে৷ আর এই জন্য প্রধানমন্ত্রীর সার্টিফিকেট দরকার৷ যার জন্যই হাসিনা বিদেশে গিয়ে বেশি কথা বলেন৷তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজের ছায়া দেখে নিজেরাই ভয় পায়৷ তারা যে অত্যাচার গুম হত্যা চালিয়েছে তা বিচার আমাদের করতে হবে না৷ তার জন্য বিচারপতিদের ধমক দিতে হবে না, পুলিশকে নির্দেশ দিতে হবে না৷
গয়েশ্বর বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সশ্রস্ত্র৷ কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বের আন্দোলন ছিল অস্ত্রবিহীন৷ তারপরও যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে কি বোঝা যায় না, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে কি পারে না৷
সংগঠনের সভাপতি আহাসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহ প্রমুখ৷