image_142346.malala-yousafzai2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২অক্টোবর: পাকিসত্মানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী ও শানত্মিতে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক লিবার্টি মেডেল গ্রহণ করেছে৷ মালালা পুরস্কারের এক লাখ মার্কিন ডলার তার জন্মভূমি পাকিসত্মানে শিশুদের শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে৷বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়, মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা বঞ্চিতদের শক্তিশালী কন্ঠস্বর হিসেবে আত্মনিবেদন এবং প্রতিকূলতার সামনে সাহস ও পরিবর্তনের ক্ষমতার জন্য’ মালালা এ পুরস্কার পেয়েছে৷মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে (এনসিসি) মালালার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়৷

পুরস্কার গ্রহণের সময় ১৭ বছর বয়সী মালালা জানিয়েছে, পুরস্কার হিসেবে পাওয়া এক লাখ মার্কিন ডলার পাকিসত্মানের শিশুদের শিক্ষার উন্নয়ন ও সহায়তায় দান করা হবে৷সে বলে, ‘আমি এই মেডেল পেয়ে খুবই সম্মানিত বোধ করছি৷ এই সম্মান নারী শিৰার সম্প্রসারণ ও প্রত্যেক শিশুকে অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যুদ্ধে অবিচল থাকতে আমাকে আরো অনুপ্রেরণা দেবে৷মালালা বলে, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরম্নদ্ধে সবচেয়ে ভালো অস্ত্র শিক্ষা৷ যুদ্ধ ও সংঘাতকে না বলার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মালালা৷গত জুনে পুরস্কারটির জন্য মালালার নাম ঘোষণা করা হয়৷ এত অল্প বয়সে এর আগে কেউ এই পুরস্কার পায়নি৷

এনসিসি চেয়ারম্যান জেব বুশ বলেছেন, সমতা ও স্বাধীনতার জন্য মালালার সাহসী সংগ্রাম প্রমাণ করে, একজন আবেগপূর্ণ ও দায়িত্বশীল নেতাই সংস্কারের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলার শক্তি রাখেন৷ এ ক্ষেত্রে বয়স কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়৷১৯৮৯ সাল থেকে লিবার্টি মেডেল দেয়া হচেছ৷ প্রথমবার পুরস্কারটি দেয়া হয় পোল্যান্ডের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংগঠন সলিডারিটির প্রতিষ্ঠাতা লিচ ওয়ালেসাকে৷ এছাড়া এ পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন৷

এর আগে মালালা গত ১০ অক্টোবর শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে এ বছর যৌথভাবে শানত্মিতে নোবেল পায়৷ আগামী ১০ ডিসেম্বর নোবেল পুরস্কারের প্রবক্তা বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃতু্যবার্ষিকীতে নরওয়ের রাজার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে৷১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই পাকিসত্মানের উত্তর-পশ্চিম সীমানত্ম প্রদেশের মিঙ্গোরা শহরে মালালার জন্ম৷ মালালা প্রথম সবার নজর কাড়ে ২০০৯ সালে৷ ওই সময় তার লেখা ডায়েরি বিবিসির উর্দু বিভাগে প্রকাশিত হয়৷ চরম কট্টরপন্থী তালেবানের অধীনে উত্তর-পশ্চিম পাকিসত্মানের নিপীড়িত নারীদের করম্নণ চিত্র ফুটে ওঠে তার সেই লেখায়৷

মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকার নিয়ে কাজ করার অপরাধে ২০১২ সালে পাকিসত্মানের সোয়াত উপত্যাকায় নিজ বাড়ির কাছে এক তালেবান জঙ্গি তার মাথায় গুলি করে৷ এরপর উন্নত চিকিত্‍সার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে আনা হয়৷ সেই থেকে সে যুক্তরাজ্যেই রয়েছে৷