Enu

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১অক্টোবর: দেশের গণতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সমাজ, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা এবং শান্তি বাজায় রাখতেই প্রস্তাবিত সমপ্রচার নীতিমালা ও তথ্য অধিকার আইনে কিছু বিধি-নিষেধ রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি৷মঙ্গলবার তথ্য অধিকার আইনের সেকশন-৭ এর ওপর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যানজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বেলা ১১টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুরে শেষ হয়৷

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইন একদিকে তথ্য লুকানোর খাঁচা থেকে প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশে ভূমিকা রাখছে, অন্যদিকে অবাধ তথ্য প্রবাহ সচল রেখে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকারকে সমুন্নত রাখছে৷তিনি বলেন, কিন্তু যেসব তথ্য ব্যক্তি মানুষের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বিনষ্ট করে এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে সেসব তথ্য দেওয়া যায় না৷

ইনু বলেন, আমরা জানি, সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলো কতো জরুরি৷ কিন্তু এখনও আমরা কমিটির বৈঠকগুলো জনসম্মুখে করতে পারছি না৷ এসব বৈঠকে সরকারি ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষ-বিপক্ষ চিন্তা না করেই বিতর্ক করেন৷ কিন্তু অধিবেশনে গিয়ে ঠিকই দলীয় মতামতের ভিত্তিতে ভোট দেন৷ এটা কেবল অন্যায়ই নয়, অনৈতিকও৷

তথ্য অধিকার সম্পর্কে ইনু আরো বলেন, এ আইন তথ্য সংকুচিত করার জন্য নয়, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতেরও৷ তবে আইন সব সময়ই যুগোপোযোগী করে হালনাগাদের প্রয়োজন পড়ে৷ এ ক্ষেত্রেও যেসব প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে, তা সমাধান করে আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷

অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, তথ্য অধিকার আইন একটি অতি উত্‍কৃষ্ট আইন৷ তবে আইনের অনেকগুলো ধারা পৃথক না করে একসঙ্গে করা যেতো৷ এছাড়াও জনগণ যাতে এ আইনটি সহজে বোঝে এবং এর সুফল ভোগ করতে পারে এজন্য তার সংস্কার প্রয়োজন৷সাবেক তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম বলেন, তথ্য গোপন কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানই নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আরো প্রকট৷ আমরা শিক্ষকরাও অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে চাই না৷ অথচ প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ হওয়ায় প্রজাতন্ত্রের সকল তথ্য পাওয়ার অধিকারই জনগণের রয়েছে৷

তথ্য অধিকার আইনের সেকশন-৭ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে এপির সাবেক বু্যরো প্রধান ফরিদ আহমেদ বলেন, এটা এমন একটা ধারা যার মাধ্যমে ২০ ধরনের তথ্য প্রদানে কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে না বলে বলা হয়েছে৷ ফলে এ ধারার মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে ও অপপ্রয়োগের পথ উন্মুক্ত হয়েছে৷

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য কমিশনার আবু তাহের, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, মানুষের জন্য ফান্ডেশেনর নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও এমআরডিআই নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান প্রমুখ৷অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাঠ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগহে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন৷