দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া,২১অক্টোবর: কলাপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ছয় একর জমিসহ সংস্থার জরাজীর্ণ ভবন বে-হাত হয়ে যাচ্ছে৷ মহিপুর মত্সবন্দর সংলগ্ন শিববাড়িয়া মৌজায় এ জমির অবস্থান৷ ইতোপুর্বে ওই জমিতে খানকায়ে ছালেহিয়া কমপেস্নঙ্ নামের একটি সাইনবোর্ড লটকানো হয়েছিল৷ দীর্ঘদিন ওই জমিতে পাউবোর জীর্ণদশার একটি ভবন দখল করে চলে মাদ্রাসার কার্যক্রম চলছিল৷ ২০১০ সালে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়৷ কিন্তু জীর্ণদশার অফিসসহ একই দশার একাধিক আবাসিক ভবন দখল করে ১২টি পরিবারের প্রায় ৫০ জন সদস্য চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছে৷ ফলে জমি বেহাতের পাশাপাশি যেকোন সময় ভবন ধসে বড় ধরনের প্রাণহানির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে৷ এছাড়া অবৈধভাবে তোলা হয়েছে একাধিক টিনশেড স্থাপনা৷ ২০০৮ সালে রহস্যজনকভাবে এইবিশাল এলাকাজুড়ে পাউবোর সম্পত্তি দখল করে নেয়া হলেও সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার৷
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব অফিস ও স্টাফ কোয়ার্টার করার জন্য ষাটের দশকে মহিপুরে এ পরিমান জমি অধিগ্রহন করা হয়৷ নির্মাণ করা হয় অফিস, স্টাফ ও অফিসার্স কোয়ার্টার৷ ২০০০ সালের দিকে ওখানকার অফিসটি গুটিয়ে ফেলা হয়৷ প্রথমদিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে এই বিশাল এলাকার জমি ও নির্মিত ভবনগুলো৷ হঠাত্ করে ২০০৮ সালে খানকায়ে ছালেহিয়া কমপেস্নঙ্ নামের একটি সাইবোর্ড টানিয়ে বিশাল এই এলাকার দখল নেয়া হয়৷ তখন কৌশলে চুপি চুপি একটি জীর্ণদশার ভবন দখল করে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরম্ন করে ওই মহলটি৷
খানকার সেক্রেটারী মোহাম্ম্দ সেলিম দাবি করেন, তারা ২০০৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে বনায়ন করার জন্য এ পরিমান জমি সাত বছরের জন্য লীজ নিয়েছেন৷ অথচ সেখানে আজ পর্যনত্ম কোন ধরনের বনায়ন করা হয়নি৷ এলাকার সচেতন মানুষের প্রতিরোধে ২০১০ সালে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়৷ কিন্তু আজ পর্যনত্ম অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় নি৷ জীর্ণদশার আবাসিক কোয়ার্টার এবং অফিসের মধ্যে বহিরাগত ভাসমান অর্ধশত লোক বসবাস করছে৷
এদের একজন নুরম্নন্নাহার জানান, তারা নিতানত্ম দায় ঠেকে এখানে বসবাস করছেন৷ এমনকি ভবনগুলোর মধ্যে মাদক সেবনকারী ও জুয়াড়িদের রাত-দিন আড্ডা বসে৷ উত্তরদিকে এ জমিতে একাধিক টিনশেড স্থাপনা তোলা হয়েছে৷ এতে বেদখলের পাশাপাশি ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে৷ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফি উদ্দিন জানান, শীঘ্রই দখলদার উচ্ছেদ করা হবে৷ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মো. নূরম্নল হক জানান, ওই লিজ অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে৷