দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৯অক্টোবর: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় কঙ্বাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি আগামী ২৬ অক্টোবর৷ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হকের আদালতে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ১০ দিনের রিমান্ড নেয়ার আবেদন করেন৷আদালত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির উপস্থিতি আগামী ২৬ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি জন্য দিন ধার্য করেছেন৷
এর আগে দুপুরে এমপি বদিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷ দুদকের স্পেশাল পিপি মো. কবির হোসাইন বদির রিমান্ড চান৷গত ১২ অক্টোবর বদি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান৷ পরদিন ১৩ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বদির জামিনের আবেদন করা হলে ১৬ অক্টোবর দায়রা আদালত তা নাকচ করে দেন৷
গত ১২ অক্টোবর রোববার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান আবদুর রহমান বদি৷ শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত৷ উক্ত আদেশে ক্ষুব্দ হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদি ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন৷গত ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহিরুল হক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এ মামলায়৷
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়৷ নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন৷ এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷
অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি,সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি,রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন৷ পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা৷
গত ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা ও আবদুস সোবহান৷ গত ১১ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন৷ এ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত রোববার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান৷এ আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদি ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন৷
