দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৮অক্টোবর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তী ও মর্যাদা উজ্জ্বল করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছেন৷তিনি তাদেরকে বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরদার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মতাদর্শগত মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আরো অবদান রাখারও আহবান জানান৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইতালির মিলানে মিলানোফিরোরিন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক গণসংবর্ধনা দেন৷ আওয়ামী লীগের ইতালি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন৷ এখানে পাওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে৷প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য বিভিন্নভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অবদান রাখছেন৷ তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে৷মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের অসামান্য অবদান দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যখনই কোন সংকটে পড়েছে তখনই প্রবাসী বাংলাদেশীরা গণতন্ত্র পুনরম্নদ্ধারে বিরাট ভূমিকা রেখেছে৷ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড ও সামরিক শাসনের বিরম্নদ্ধে জনমত গঠন করেছে৷বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও অর্থ পাচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই অপশক্তি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে সীমাহিন দুর্নীতি, ব্যাপক অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে৷তিনি বলেন, তারা শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসান উলস্নাহ মাস্টার, আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয় নেতাকে হত্যা করেছে৷ তারা ৰমতার লোভে এবং চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল৷
গত ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যসহ মানুষ খুন করেছে, রেলওয়ের ফিসপেস্নট উপড়ে ফেলেছে, বাস, ট্রেন, পবিত্র কোরআন ও মসজিদে আগুন দিয়েছে৷তিনি বলেন, ১৯৭১’র পরাজিত শক্তি ৭৫’র পর জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত এবং রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে বাংলাদেশকে ‘হত্যাকারীদের দেশে’ পরিণত করেছিল৷সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে এরশাদ ও খালেদা জিয়া হত্যাকারীদের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী নেতা করেন এবং বিদেশি বিভিন্ন মিশনে তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন৷প্রধানমন্ত্রী বলেন,তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে বিরাট কলঙ্কমুক্ত করেছে৷তিনি গত পাঁচ বছর আট মাসে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, তাঁর সরকার ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লৰ্য নির্ধারণ করেছে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সৰম হয়েছে৷ ফলে দেশের উন্নয়নে সমুদ্র সম্পদ আহরণের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ শেখ হাসিনা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিদু্যত্ ও জ্বালানি, যোগাযোগ, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা ও আইসিটি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাসত্মবায়নের বিসত্মারিত তুলে ধরেন৷প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷প্ররবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তী ও মর্যাদা উজ্জ্বল করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷তিনি তাদেরকে বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরদার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মতাদর্শগত মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আরো অবদান রাখারও আহ্বান জানান৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য বিভিন্নভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবদান রাখছেন৷ তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে৷মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের অসামান্য অবদান দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছে৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যখনই কোনো সংকটে পড়েছে তখনই প্রবাসী বাংলাদেশিরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিরাট ভূমিকা রেখেছে৷ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছে৷
বিএনপি-জামাতের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও অর্থ পাচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই অপশক্তি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাপক অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে৷গত ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যসহ মানুষ খুন করেছে, রেলওয়ের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলেছে, বাস, ট্রেন, পবিত্র কোরআন ও মসজিদে আগুন দিয়েছে৷তিনি বলেন, ১৯৭১’র পরাজিত শক্তি ৭৫’র পর জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত এবং রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে বাংলাদেশকে ‘হত্যাকারীদের দেশে’ পরিণত করেছিল৷সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে এরশাদ ও খালেদা জিয়া হত্যাকারীদের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী নেতা করেন এবং বিদেশি বিভিন্ন মিশনে তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে বিরাট কলঙ্কমুক্ত করেছে৷তিনি গত পাঁচ বছর আট মাসে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, তার সরকার ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷
আওয়ামী লীগ ইতালি শাখার সভাপতি ইদ্রিস ফরাজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল দাস গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরিফ বক্তৃতা করেন৷ইতালি ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইটালির ব্যবসায়িক প্রাণ কেন্দ্র মিলানে চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে আজ দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন৷শনিবার এক বার্তায় জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে (মিলান সময়) মিলানের মলপেনসা আনত্মর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে৷ শেখ হাসিনা গত ১৫ অক্টোবর এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে (আসেম) যোগ দিতে মিলান যান৷ইটালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শাহাদাত হোসেন ও মিলানে বাংলাদেশ কাউন্সেল জেনারেল মিস রেজিনা আহমেদ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান৷প্রধানমন্ত্রী রাতে ঢাকায় পেঁৗছবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷