একরাম হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শিবলুর জামিন

দৈনিকবার্তা-ফেনী,১৪অক্টোবর : ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক হত্যাকান্ডের ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসাবে আলোচিত ও মামলার অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামী আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু কাউন্সিলর জামিন পেয়েছেন৷

গত পহেলা অক্টোবর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ বদরম্নজ্জমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি যৌথ বেঞ্চ ফেনী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুলস্নাহ হিল মাহমুদ শিবলুকে ৬ মাসের অনত্মবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন৷ গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেয়া জামিনের কাগজপত্র ফেনীর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মফিজুর রহমান ভুঞার আদালতে পেঁৗছায়৷ তিনি ওইসব কাগজপত্র দেখে তাতে স্বাৰর করেন এবং জামিন প্রদানের জন্য কাগজপত্র ফেনী কারাগারে প্রেরন করেন৷

ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদনত্ম) ও মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা (আইও) আবুল কালাম জানান, তিনি হাইকোর্টের জামিনের আদেশের কথা শুনেছেন৷ তবে কোন কাগজপত্র পাননি৷ গত ২০ মে বেলা ১১টার দিকে ফেনী থেকে ফুলগাজী যাওয়ার পথে শহরের একাডেমি এলাকায় সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান একরামের গাড়ীর গতিরোধ করে তাঁকে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে৷

এঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ও বিগত উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান একরামের মূল প্রতিদ্বন্ধি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ মিনার চৌধুরীর নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরম্নদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনার ১০০ দিনের মাথায় পুলিশ তদনত্ম শেষে ৫৬ জনের বিরম্নদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে৷ কিন্তু আদালত এখনো ওই অভিযোগপত্র গ্রহন করেনি৷এদিকে অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামীদের মধ্যে পুলিশ ও র্যাব ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ কিন্তু অভিযোগপত্র ভুক্ত অন্যতম আসামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল ও ফেনী পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল আলম মিষ্টারসহ ২৭ জন এখনো পলাতক রয়েছেন৷

প্রসঙ্গত ঃ মামলার তদনত্ম চলাকালে আরো পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল৷ কিনত্ম অভিযোগপত্রে তাদের নাম না থাকায় ওই পাঁচ জন গত কয়েকদিনে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন৷ফেনী কারাগারের তত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) আনোয়ারম্নল করিম জানায়, আবদুলস্নাহ হিল মাহমুদ শিবলুর জামিন আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে সরকার পক্ষ থেকে আপীল করা হয়েছে৷ আপীলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যনত্ম তাঁর জামিন দেয়া যাবেনা৷