দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০১৪ : বিশ্বব্যাপী ইবোলায় মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷৷বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একথা জানায়৷ এদিকে ইবোলায় আক্রানত্ম মাদ্রিদের এক নার্স শনিবার মৃতু্যর সাথে লড়ছেন৷ ভয়াবহ এ ব্যাধি নিয়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কতর্ৃপক্ষ তা দূর করার চেষ্টা করছে৷হু জানায়, বিশ্বের সাতটি দেশে ইবোলায় আক্রানত্ম মোট ৮ হাজার ৩৯৯ জন রোগীর মধ্যে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যনত্ম এ রোগে মোট ৪ হাজার ৩৩ জনের মৃতু্য হয়েছে৷মৃতের এ সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির পর জাতিসংঘ জানায়, প্রাণঘাতী ইবোলা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ১শ’ কোটি ডলারের তুলনায় প্রতিশ্রুতি অনেক কম এসেছে৷
পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলায় প্রায় সকল মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে৷ ওই অঞ্চলের বাইরে ইবোলা মহামারির ব্যাপারে আতংক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছেছ৷কানাডা সরকার ইবোলা আক্রানত্ম পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়তে তাদের দেশের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে৷ তারা তাদের নিজ দেশের সীমানত্মে ভ্রমনকারিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন তাদের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করেছে৷ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ক মার্কিন কেন্দ্র ইবোলা মোকাবেলায় জোরদার পদক্ষেপ না নেয়া হলে আগামী জানুয়ারি নাগাদ এ রোগে আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে৷
অস্ট্রেলিয়া থেকে জিম্বাবুয়ে এবং ব্রাজিল থেকে স্পেনে লোকজনের মধ্যে যাদের শরীরে জ্বরের লক্ষণ রয়েছে বা যারা ইবোলা রোগে আক্রানত্ম রোগীর সংস্পর্শে ছিল তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যনত্ম আলাদা রাখার বা তাদের বাড়িতে থাকার কথা বলা হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে বিমানের এক যাত্রী বারবার হাঁচি দিয়ে বলেছে, ‘আমি ইবোলা রোগে আক্রানত্ম৷ এতে আপনারা সকলে আক্রানত্ম হয়েছেন৷’ সে এমন কথা বলার পর ওই বিমানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি চিকিত্সক দল লোকটিকে নিয়ে যায়৷ পরে কতর্ৃপক্ষ এ ধরণের ভ’য়া আতংক ছড়ানোর ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করে দেয়৷সংক্রামক রোগীদের জন্য স্পেনের প্রধান পৃথক একটি হাসপাতালে এ ভাইরাস কিভাবে ছড়ালো তা নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে৷স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা এএফপিকে বলেন, স্পেনে ইবোলা আক্রানত্ম ৪৪ বছর বয়সী নার্স তেরেসা রোমারোকে মাদ্রিদে কার্লোস-৩ হাসপাতালে আলাদা করে রাখা হয়েছে৷প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন৷ সেখানে রোমারোর অবস্থা ‘স্থিতিশীল তবে গুরুতর বলা হয়েছে৷
চিকিত্সকরা শুক্রবার সেখানে আরো তিনজন রোগীকে পর্যবেৰণে রেখেছে৷ এনিয়ে ওই হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়ালো৷ পর্যবেৰণে রাখা রোগীদের মধ্যে রোমারোর স্বামী ও অপর এক মেডিকেল স্টাফ রয়েছেন৷ এদিকে জাতিসংঘ ও ইবোলা ছড়িয়ে পড়া দেশ গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওনের নেতারা আফ্রিকায় এ রোগ মোকাবেলায় ব্যাপক সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন৷জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব জ্যান ইলিয়াসন জানান, প্রাণঘাতী রোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ১শ’ কোটি ডলারের মাত্র চার ভাগের এক ভাগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে৷ এক্ষেত্রে তিনি চিকিত্সক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন৷