খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৩অক্টোবর : ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি না দিয়ে নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাদের অহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম৷শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আসলে রাজপথেই তাদের মোকাবেলা করবে আওয়ামী লীগ৷তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পরিকল্পিতভাবে আবারো ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে৷এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি৷ ধর্ম নিয়ে বিরুপ মন্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় বিএনপি এখন আন্দোলনের ইসু্য সঙ্কটে ভূগছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা৷খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা চলছে এগুলো মোকাবেলা করতে প্রভাবশালী আইনজীবী নিয়োগ করুন৷ নতুন করে যাতে মামলা না হয় সেভাবে চলেন৷ আন্দোলনে নেমে আবারও অরাজকতা শুরু করলে আরও মামলা হতে পারে৷

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিতে দিতে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে৷ তারা আন্দোলনে নামলে আমাদের সুবিধা৷ আমরা অনেক দির ধরে রাজপথে নামি না৷ স্বাস্থ্যের জন্য হলেও রাজপথে নেমে তাদের মোকাবিলা করা উচিত৷ড. কামাল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম বলেন, ড. কামাল ও মান্নারা এক হয়েছে৷ এদের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই৷ এরা কাগুজে রাজনৈতিক দল৷ এদের শক্তি মিডিয়া৷ এরা বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলে৷ ড. কামালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ড. কামাল দলের গণতন্ত্রের কথা বলেন৷ অথচ তার দলেই (গণফোরাম) গণতন্ত্র নেই৷ দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয় না৷ একেক সময় একেক জনকে সাধারণ সম্পাদক করেন৷ তাও আবার ভারপ্রাপ্ত৷তিনি বলেন, এমন কিছু ওয়ানম্যান পার্টি দিয়ে রাজনীতির নতুন মেরুকরণের চেষ্টা করছে৷

এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই উল্লেখ করে কামরুল বলেন, ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সংলাপ যেমন সফল হয়নি৷তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেও কোনো সংলাপ সফল হবে না৷ এদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না৷ তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে৷ তখন যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সেখানে শুধু সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলো থাকবে৷ বিএনপির স্থান হবে না৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তো প্রশ্নই আসে না৷বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, সে বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গে যেসব কথা বলে, শুনলে শরীরের লোম শিউরে ওঠে৷ সে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে৷ ফেরারি আসামির এসব কথা সহ্য করার মতো নয়৷

জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেতা ড. ইনামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা জি এম আতিক, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ৷