দৈনিকবার্তা-ঢাকা : মন্ত্রিসভা থেকে ‘অব্যাহতি’র পাশাপাশি লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকেও সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সিলেট আওয়ামী লীগের এক নেতা সাংবাদিকদের এমন কথাই জানিয়েছেন৷ লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে যাত্রাবিরতি করেন৷ সেসময় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন৷
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘হজ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য লন্ডনে অবস্থানকালেই লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ এখন দল থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেয়া হবে বলে তিনি বলেছেন৷”
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এমন খবরই পরিবেশন করেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি টুইটারে ‘ব্রেকিং’ হিসেবে শেয়ার করেন একটি ইংরেজি দৈনিকের অনলাইন সাংবাদিক এ এম জাহিদ৷
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে জানাতে শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত থাকবেন৷ খবরটি টুইটারে শেয়ার করে দেবজিৎ অধিকারী লিখেছেন, তিনি লতিফ সিদ্দিকীর বিষয় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছেন৷ এদিকে, লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে ‘অব্যাহতি’ দেয়ার বিষয়টি গত দু-তিন দিন ধরেই বেশ আলোচিত৷ দুদিন আগে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ সংক্রান্ত প্রকাশিত একটি সংবাদ টুইটারে শেয়ার করেন তসলিমা নাসরিন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বর্বর ইসলামপন্থিদের দেশ বাংলাদেশ৷ হজ নিয়ে করা জ্ঞানী মন্তব্যের জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ করেছে দেশটি৷”
লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য নিয়ে ফেসবুকেও চলছে অনেক আলোচনা৷ এর মধ্যে সংগীত শিল্পী ও সম্প্রতি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেয়া ন্যান্সির একটি মন্তব্য আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷ তিনি জনসম্মুখে লতিফ সিদ্দিকীর শিরশ্ছেদ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন৷ কেউ কেউ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করলেও সমালোচনাও হচ্ছে অনেক৷ লতিফ সিদ্দিকীর অব্যাহতির খবরে ব্লগার আরিফ জেবতিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘…পাবলিক অফিসে বসে পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, রাজনীতিতে এর চাইতে বেশি করার সুযোগ নেই, উচিতও নয়৷”