দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০১অক্টোবর: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এর অধিভুক্ত কলেজের ইতিহাস ও রসায়ন বিষয়ে কর্মরত শিৰকদের ৮৪তম ব্যাচের প্রশিৰণ বুধবার সম্পন্ন হয়েছে৷ ৪৫ দিন ব্যাপী এ প্রশিৰণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরস্থিত মূল ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারম্নন-অর-রশিদ৷
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আসলাম ভূঁইয়া (প্রশাসন), ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ নোমান উর রশীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোলস্না বক্তব্য রাখেন৷ এতে সভাপতিত্ব করেন স্নাতকোত্তর শিৰা, প্রশিৰণ ও গবেষণা কেন্দ্র এর ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন৷ সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশিৰণাথর্ী উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সাঈদা ফাতিমা৷ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিৰণাথর্ীদের মধ্যে সনদ ও পুসত্মক বিতরণ করা হয়৷
প্রধান অতিথির ভাষণে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বছরে বছরে নানা কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰাথর্ীদের জীবনে দুর্বিষহ সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে৷ উপেৰিত হয়েছে মানসম্পন্ন শিৰা নিশ্চিত করার বিষয়টিও৷ অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশের শিৰাথর্ীদের শতকরা ৭০ ভাগ অনত্মর্ভুক্ত৷ সেশনজট দূর করতে বর্তমান প্রশাসন তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর একাধিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে৷ ২০১৪-২০১৫ শিৰাবর্ষে যারা স্নাতক পাস ও সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তারা যথাসময়ে পরীৰা সম্পন্ন করে বের হতে পারবে৷ সেশনজট থেকে মুক্তির পর আমাদের পরবতর্ী কর্মপ্রচেষ্টার মূল লৰ্য হবে মানসম্পন্ন শিৰার নিশ্চয়ন৷ এ ৰেত্রে কলেজ পর্যায়ে শিৰকদের প্রশিৰণের মাধ্যমে তাদের নিজেদের মানোন্নয়ন ও দৰ করে গড়ে তোলা আবশ্যক৷ সে দিকে দৃষ্টি রেখে বর্তমান প্রশাসন শিৰকদের প্রশিৰণের উপর সর্বোচ্চ গুরম্নত্বারোপ করে একে আরো বিসত্মৃত ও অংশগ্রহণমূলক করার পদৰেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে৷
এবারের প্রশিৰণে ইতিহাস বিষয়ে ৩৬ জন ও রসায়ন বিজ্ঞানে ১৩ জনসহ সর্বমোট ৪৯ জন শিৰক অংশগ্রহণ করেন৷