index

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১অক্টোবর: বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় বুধবার সকালে মাঝনদীতে লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকা ডুবে মা ও শিশু মারা গেছে৷ এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের একজন আহত হন৷ নিখোঁজ রয়েছেন আরেকজন৷নিহত মায়ের নাম খাদিজা বেগম (৩৫)৷ তাঁর শিশুপুত্রের নাম ওবায়দুল ইসলাম৷ বয়স ২২ দিন৷আহত হয়েছেন খাদিজার স্বামী ওহাব মিয়া৷ নিখোঁজ রয়েছেন ওহাবের মা সেতারা বেগম৷ওহাবকে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

নিহত খাদিজার মামাতো ভাই সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, পরিবারটির সদস্যরা সাভারে থাকেন৷ তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী৷ সকালে তাঁরা পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেন৷ সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় মাঝনদীতে থাকা এমভি পূবালী লঞ্চে ওঠার জন্য সকাল নয়টার দিকে তাঁরা একটি নৌকা নেন৷ মাঝনদীতে একই লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে৷দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী বলেন, নিখোঁজ সেতারার অনুসন্ধান চলছে

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জামালউদ্দিন মীর জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িগঙ্গায় এ দুর্ঘটনায় নিহতের স্বামীও আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন তার মা৷ আহত ওহাব মিয়াকে (২৮) মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তার শাশুড়ি সেতারা বেগমকে (৬০) খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের খবর দেয়া হয়েছে৷ ওহাব মিয়া হাসপাতালে জানান, তিনি সাভারে এক ব্যক্তির প্রাইভেট কার চালান৷ ছুটিতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সকালে গাবতলী থেকে ওয়াটার বাসে করে ওয়াইজ ঘাটে আসেন৷

এরপর পটুয়াখালীর লঞ্চে ওঠার জন্য নৌকায় করে নদীর ভেতরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের নৌকা৷ দুই লঞ্চের মাঝখানে পড়ে চাপ খেয়ে আমাদের নৌকা ডুবে যায়৷ তারপর আশেপাশের লোকজন নৌকা নিয়ে আমাদের তোলে৷দুর্ঘটনায় শিশু ওবায়দুল্লাহর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ আর তার মা খাদিজার মাথাও থেঁতলে যায়৷ওসি জামালউদ্দিন মীর বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে৷ সেতারা বেগমের খোঁজে ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়া হয়েছে৷ তবে স্থানীয়রা তল্লাশি চালাচ্ছেন৷