দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশে প্রাথমিক বস্ত্রখাতে (প্রাইমারি টেঙ্টাইল) বিনিয়োগ করলে ভারতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম৷ সোমবার ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান টেঙ্টাইল এঙ্পো-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পোশাক খাত যেভাবে বিশ্ব বাজারে সমপ্রসারিত হচ্ছে সে অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বস্ত্র খাতের সমপ্রসারণ ঘটেনি৷ ফলে দেশীয় উত্স থেকে চাহিদা অনুযায়ী কাপড় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ এজন্য সরকার প্রাথমিক বস্ত্র খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আশা করছে৷ এক্ষেত্রে ভারতীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে৷বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী৷
ভারত বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও অশুল্ক বাধার কারণে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না৷ আমরা আশা করব, উভয় দেশের স্বার্থে এসব অশুল্ক বাধা দূর করার উদ্যোগ নেবে ভারত সরকার৷ ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে উদ্যোগী হবেন বলে আশা করি৷ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণে ভারত মেইক ইন ইন্ডিয়া নামে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন৷
অশুল্ক বাধা ও ভিসা জটিলতা নিরসনে ভারত সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম সমস্যা কাউন্টার ভেইলিং (আমদানি নিরুত্সাহিত করতে আরোপিত শুল্ক)৷ এ সমস্যা দূর করা না গেলে বাংলাদেশ ভারতের বাজারে রপ্তানি বাড়াতে পারবে না৷
ভারতের দ্য সিনথেটিক অ্যান্ড রেয়ন টেঙ্টাইল এঙ্পোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে গুজরাটের নয়টি, মুম্বাইয়ের ১১টি এবং তামিলনাড়ু ও আহমেদাবাদের একটি করে প্রতিষ্ঠান কাপড় ও সুতা প্রদর্শন করছে৷এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ৷
অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই পরিচালক হারুণ অর রশিদ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন৷