দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৮সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শনিবার রাতে ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি৷ নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সঙ্গে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম বৈঠক৷ বৈঠকে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন৷ পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে ভারত সব সময় সম্পৃক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷দুই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস মোকাবেলায় একযোগে কাজ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে জানান তিনি৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝুলে থাকা স্থলসীমান্ত ও তিস্থার পানিবন্টন সমস্যা সমাধানে তাঁর গভীর আন্তরিকতার কথা প্রকাশ করেছেন৷প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম বৈঠকে নরেন্দ্র দামোদর মোদি বলেন, আমি স্থসীমানত্ম চুক্তি ও তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির সমাধান করতে অত্যন্ত আন্তরিক৷ আমি এসব বিষয় নিষ্পত্তির উপায় খুঁজছি৷বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, খুবই উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতে মধ্যে স্থলসীমান্ত ও তিস্তার পানি বন্টনসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করে বলেন, আমরা এসব সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি আশা করি৷ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নয়াদিল্লী সবসময় ঢাকার পাশে রয়েছে৷দুই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলো এক সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে৷বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে৷তিনি বলেন, এক সঙ্গে উন্নয়নের এই বার্তা আমার পূর্বমুখী পলিসিতে (লুক ইস্ট পলিসি) গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমারের অর্থনৈতিক করিডোরের কথা উলেস্নখ করেন৷ তিনি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারণের আহবান জানালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাঁর সঙ্গী কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে পদৰেপ নেয়ার নির্দেশ দেন৷
নরেন্দ্র মোদি এ অঞ্চলে ধমর্ীয় পর্যটনের বিকাশ ও সার্ক স্যাটেলাইট চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গড়েছেন এবং তাঁর কন্যা বাংলাদেশ রক্ষা করছেন৷দুই প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদের মূলোত্পাটনে ঐকমত্র পোষণ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিমর্ূল ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়৷
বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশ সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন৷ এ লৰ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং শিগগিরই তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন৷১৫ মিনিটব্যাপী চলা এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি দীপু মনি ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত এম এ মোমেন৷