দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৪ সেপ্টেম্বর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চীন সফররত প্রতিনিধি দলের প্রধান ড.আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত গতিশীল৷ কারণ বেসরকারি খাত৷ বাংলাদেশে নানা খাত আছে যেখানে চীন বিনিয়োগ করতে পারে৷ ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে চীনা বিনিয়োগ উত্সাহিত করতে স্বতন্ত্র ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করবে৷ বিএনপি প্রতিনিধি দল সাংহাই ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স (এসএফআইসি) এবং সাংহাই চেম্বার অব কমার্স (এসসিসি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসসিসি ভবনে এক বৈঠকে মিলিত হয় ৷বৈঠকে ড. মঈন এসব কথা বলেন৷ এসএফআইসির ভাইস চেয়ারম্যান এবং এসসিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন লিয়াং চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন৷বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়৷
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে পুডং চায়না এঙিকিউটিভ লিডারশিপ একাডেমির (সিলাপ) সেমিনারে চীনে সফররত বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, কোনো দেশের উন্নতি অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি৷ আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক দলের নৈতিক দিক নির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি৷ কিন্তু বিভিন্ন দেশে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে দুর্নীতিবাজ সরকাররা সমগ্র পদ্ধতিকে নষ্ট করে দেয়৷ যেমন বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে এরকমটিই ঘটছে৷
ড. মঈন খান বলেন, চীনের দীর্ঘদিনের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজকের আধুনিক চীন বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিস্ময়কর মডেল৷ তিনি চীনের সামাজিক রূপান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কম্যুনিস্ট পাটির্র অভ্যন্তরীণ গতিশীলতাকে উপজীব্য বলে উল্লেখ করে বলেন, চায়না কমু্যনিস্ট পার্টি (সিপিসি) অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চীনের সামগ্রিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত আবেগমন্ডিত ৷ স্বাধীনতাত্তোর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই ১৯৭৫ সালের পরে নতুন করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন৷ বৈঠকে জিন লিয়াং বলেন, আমরা নিজেদের শিল্পকে প্রসারিত করতে চাই, অন্য দেশে নিয়ে যেতে চাই৷ বিশেষভাবে বস্ত্র শিল্পকে দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ে যেতে আগ্রহী৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমশক্তি আছে, কিন্তু সেখানে ঐতিহ্যগত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে৷ তাই আমরা চাই বাংলাদেশে আমাদের প্রযুক্তি বর্ধিত করতে৷বিএনপি প্রতিনিধি দলের পক্ষে ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের লোক সংখ্যা চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম হলেও গার্মেন্টস শিল্পে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী৷ চীনের পরেই বাংলাদেশের স্থান৷ গার্মেন্টস শিল্পকে কেন্দ্র করে ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজের মাধ্যমে এক ব্যাপক শিল্প চেইন গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে৷ বাংলাদেশ যদি বর্তমান চাইনিজ প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আরো বেশি গতিশীল হয়ে উঠবে এবং অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত গতিশীল, এর কারণ বেসরকারি খাত৷ বাংলাদেশে নানা খাত আছে যেখানে চীন বিনিয়োগ করতে পারে৷ ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে চীনা বিনিয়োগ উত্সাহিত করতে চীন দেশের জন্য স্বতন্ত্র ইপিজেড প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করবে৷
লিয়াং এসএফআইসিকে বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বলেন, এসএফআইসি নানা ধরনের ব্যবসায়িক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এমনকি সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ এটি উন্নততর ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সরকারের কাছে লবিং করে৷ তিনি বলেন, আমরা নিজেদের শিল্পকে প্রসারিত করতে চাই, অন্য দেশে নিয়ে যেতে চাই৷ বিশেষভাবে বস্ত্র শিল্পকে দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ে যেতে আগ্রহী৷ বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমশক্তি আছে, কিন্তু সেখানে ঐতিহ্যগত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, তাই আমরা চাই বাংলাদেশে আমাদের প্রযুক্তি বর্ধিত করতে৷ বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল থেকে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ৷ এরপর বিকেলে বিএনপির প্রতিনিধি দল ১৯২১ সালে সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত চীনা কমু্যনিস্ট পার্টির প্রথম কংগ্রেস ভবন পরিদর্শন করেন৷