দৈনিকবার্তা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া,২৩ সেপ্টেম্বর: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই৷ সরকার যা বলে সেভাবেই রায় দিতে হয়৷সংবিধানের নতুন সংশোধনীর ফলে এখন বিচার বিভাগকে ভয় দেখিয়ে সরকার রায় করাবে৷ সরকারের পছন্দমতো রায় না দিলে এই আইনে তাঁদের অপসারণ করবে৷
দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া৷ আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে দাবি করে খালেদা জিয়া আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মানে ‘হাঁটি হাঁটি খাই খাই, যা পাই তাই খাই৷মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন৷
তত্ত্বাবধায়ক আমলের মামলা প্রত্যাহার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তাদের হয়রানি করতেই এমন করা হচ্ছে৷তবে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
২০ দলের জনসভায় বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন,১/১১ এর পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের নামে মামলা হয়েছিল৷ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামেও মামলা হয়েছিল৷ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে তার নামে ও তার দলের লোকদের নামে করা মামলা তুলে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের মামলাগুলো রেখে দিয়েছে, আমাদের যাতে হয়রানি করা যায়৷খালেদা জিয়া বলেন, তারা (সরকার) আমাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়৷ আমি গ্রেপ্তারের ভয় পাই না, পেলে আরো আগে চলে যেতাম৷ তিনি তো (হাসিনা) চলে গিয়েছিলেন, আমি কি গিয়েছিলাম? আমার জনগণকে রেখে আমি কোথাও পালিয়ে যাইনি৷
সমাবেশে বক্তব্যে র্যাবকে মানুষ হত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান খালেদা জিয়া৷তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে, এটা করেছে র্যাব৷ এত বড় ঘটনার পরে র্যাব প্রধানের এখনো চাকরি থাকে কিভাবে? জিয়া না কি যেন নাম, তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত্৷ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে নিলেই সব সত্য বের হয়ে আসবে৷র্যাবের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের অভিযোগ তুলে খালেদা বলেন, এই বাহিনী এখন পর্যন্ত ৩১০ জন বিএনপি নেতাকে হত্যা এবং ৫৬ জনকে গুম করেছে৷জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা ও সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের দাবি জানান তিনি৷
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা মঞ্চে উঠলে দলের নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়৷ মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন তিনি৷বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, আশুগঞ্জ, আখাউড়া, নবীনগর, নাসিরনগর, বিজয়নগর, কসবা ও বাঞ্ছরামপুর উপজেলার কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জনসভায় অংশ নেন৷ বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মবাড়িয়া সার্কিট হাউজে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন৷তার আগমণ উপলক্ষে রঙিন ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর৷ আশুগঞ্জ থেকে জনসভাস্থল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পথে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ৷৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর রাজধানীর বাইরে এটি খালেদা জিয়ার তৃতীয় রাজনৈতিক জনসভা৷ সর্বশেষ গত ২৮ মে মুন্সীগঞ্জের জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি৷
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ শেয়ার বাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকা লুট করেছে৷ ডেসটিনির টাকা পাচার করেছে৷ জনতা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে৷ অবৈধ অর্থমন্ত্রী বলেন এটা সামান্য ব্যপার৷ কিন্তু এখন স্বীকার করেছেন যে, ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে৷ স্বীকার করেছেন যে ব্যবস্থাপনায় দলীয় পরিচয়ে লোক নিয়োগ করা ঠিক হয়নি৷খালেদা জিয়া এ সময় বলেন, অর্থমন্ত্রী দেরিতে হলেও এই কথা স্বীকার করেছেন সেজন্য তাকে ধন্যবাদ৷ কারণ আওয়ামী লীগের কেউ সত্য কথা বলে না৷
তিনি বলেন, এ সরকার বিদু্যত উত্পাদন বাড়াবে বলে কুইক রেন্টাল করেছে৷ ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে৷ কিন্তু বিদু্যতের উত্পাদন বাড়েনি৷ তারা দাবি করে দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের কথা৷ কিন্তু উত্পাদন সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট৷ বিদু্যতের অভাবে কলকারখানা বাসা বাড়িতে নতুন সংযোগ দিতে পারে না৷ কিন্তু দফায় দফায় দাম বাড়ায়৷তিনি বলেন, দেশে এখন সার উত্পাদন হয় না৷ সরকার বিদেশ থেকে সার আনে, কেননা এতে কমিশন পাওয়া যায়৷ কয়েকদিন আগে খবরে দেখলাম মসজিদ, এতিম খানা, মন্দিরের টাকা মেরে দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন৷
এ সরকার টাকা দেখলে লোভ সামলাতে পারে না উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার মানুষের জন্য কাজ করে না, টাকা দেখলে নিজেদের লোভ সামলাতে পারে না৷ বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা নেয় কিন্তু কাজ করে না৷ রাস্তা করার নামে তারা কোটি কোটি টাকা নিয়েছে৷ কিন্তু কোনো কাজ করছে না৷খালেদা জিয়া এ সময় বলেন, হাঁটি হাঁটি খাই খাই, যা পাই তাই খাই৷
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন খাল বিল পর্যন্ত ভরাট করে ফেলছে, বাড়ি ঘর দখল করে ফেলছে৷ কেউ কিছু বলছে না৷খালেদা জিয়া এ সময় আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব লুটপাটের জন্য জবাব দিতে হবে৷ কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে৷খালেদা জিয়া আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় হাসিনার নামে কত মামলা হয়েছিলো৷ আমাদের নামেও হয়েছে৷ কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর নিজের ও দলের নেতাদের মামলা তুলে নিয়েছে৷ আমাদের মামলা তোলে নি৷ এখন ভয় দেখায় গ্রেফতারের৷ কিন্তু আমি গ্রেফতারের ভয় পাই না৷ ওয়ান ইলেভেনের সময় তারা আমাকে দেশের বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলো৷ কিন্তু আমি যাইনি৷ এ দেশের মাটি ও মানুষকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না৷
খালেদা জিয়া আরও বলেন, টিভিতে আমাদের কথা প্রচার পায় না৷ বিটিভি আওয়ামী লীগের টিভি৷ তাদের কথা ছাড়া প্রচার করে না৷এখন বেসরকারি টিভিগুলোকেও আয়ত্বে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷
বিচার বিভাগ স্বাধীন করার কথা বললেও স্বাধীন করা হয়নি৷ আজকে দেশে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে তারা৷ বিনা ভোটে নিবাচিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ কিন্তু জনগণ তা মানবে না৷খালেদা জিয়া আরও বলেন, এ সরকার অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার৷তিনি বলেন, এ সরকার নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে৷ যার জন্য আজ দেশের আজ এ দুরাবস্থা৷ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি৷ প্রতিদিন খুন গুম রাহাজানি হচ্ছে৷ আপনারা দেখেছেন, এ সরকার কিভাবে র্যাবকে অন্যায় অত্যাচারের কাজে ব্যবহার করেছে৷
তিনি বলেন, র্যাব আমরা গঠন করেছিলাম সন্ত্রাস দমনের জন্য৷ সন্ত্রাস দমনও করেছিলাম৷ কিন্তু তাদের দিয়ে এ সরকার মানুষ ধরে নিয়ে হত্যা করে৷ এখনও পর্যন্ত আমাদের দলের ৩১০ জনকে হত্যা করেছে, ৩৬ জনকে গুম করেছে৷তিনি এ সময় জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা ভোট দিয়েছিলেন কি দেননি?’জনগণ এ সময় ‘না’, ‘না’ বলে জবাব দেন৷
খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সাথে কারা জড়িত৷ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সব জানেন৷ এ ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে৷ র্যাবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে খবর বেরিয়েছে৷ তিনি কিভাবে পদে থাকেন৷ তাকে ধরলেই সব বেরিয়ে যাবে, তাই তাকে ধরা হচ্ছে না৷তিনি আরও বলেন, এ সরকার অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার৷খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে৷ যার জন্য আজ দেশের আজ এ দুরাবস্থা৷ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি৷ প্রতিদিন খুন গুম রাহাজানি হচ্ছে৷
খালেদা জিয়া এ সময় বলেন, তাহলে কি করে এই অনির্বাচিত সরকার সংসদে বসে থাকে৷ তারা কিভাবে লম্বা লম্বা কথা বলে আর আইন পাস করে৷বিচার বিভাগ স্বাধীন করার কথা বললেও স্বাধীন করা হয়নি৷ আজকে দেশে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে তারা৷ বিনা ভোটে নিবাচিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ কিন্তু জনগণ তা মানবে না৷ খালেদা জিয়া আরও বলেন, এ সরকার অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার৷খালেদা জিয়া এ সময় বলেন, তাহলে কি করে এই অনির্বাচিত সরকার সংসদে বসে থাকে৷ তারা কিভাবে লম্বা লম্বা কথা বলে আর আইন পাস করে৷
বর্তমান সরকারকে অবৈধ আখ্যায়িত করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের কাছে জানতে চাই, দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার আছে? নাই৷ যারা ক্ষমতায় আছে তারা অবৈধ৷ এরা অবৈধ সরকার হয়ে কীভাবে সংসদে বসে লম্বা লম্বা কথা বলেন? আবার আইন পাস করেন৷ এরা সংবিধানের কথা বলে আর নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করে চলছেন৷
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা একেরপর এক অন্যায় করছে৷ ছাত্রলীগ-যুবলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না৷ তারা সন্ত্রাস করছে, খাল-বিল-নদীনালা দখল করছে৷ অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে৷সরকার খুনি মন্তব্য করে খালেদা বলেন, বিডিআরের ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি৷ তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুদাসদন থেকে হেয়ার রোডের বাড়ি কেন পাল্টেছিলেন, দেশের মানুষ তা বোঝে৷
খালেদা বলেন, হেফাজতে ইসলামের আলেম ওলামা ও ইয়াতিম শিশুদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ অনেক আলেমকে হত্যা করা হয়েছে৷ অনেকে বডি গুম করা হয়েছে৷ কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে৷ কোনো মুসলমান কোরআন পোড়াতে পারে না৷ আওয়ামী লীগ বেঈমান, মোনাফেক৷ এদের কাছে টাকা আর ক্ষমতা হলো আসল৷ যাদের হাতে এতো মানুষের রক্ত তারা অবৈধ ও খুনি সরকার৷ তাদের ক্ষমতায় থাকার এখতিয়ার নেই৷আগামী দিনে আওয়ামী লীগ ভোট চাইতে গেলে এসব বিষয় মনে রাখতে জনগনের প্রতি তাগিদ দেন তিনি৷
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসে একের পর এক অবৈধ আইন করছে সরকার৷ জনগণের টাকা লুট করছে৷ এক দিন জনগণের কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে হবে তাদের৷তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে৷ বিদু্যতের উত্পাদন নিয়ে জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে৷ কুইক রেন্টালের নামে জনগণের টাকা লুট করছে সরকার৷
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিমান-পর্যলটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, যারা জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পাস করতে পারেননি তারা এখন নৌকায় উঠে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন৷ লাফালাফি আর মিথ্যা কথা বলেন৷ এখন না কি তারা আমার হজে যাচ্ছেন৷ জীবনে কোনোদিন পশ্চিম দিকে একটি সিজদা দিয়ে দেখেননি৷ তারপরও হজে গিয়ে তওবা পড়ে যদি ভাল হন তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল৷বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ বক্তব্য দেন৷
জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, এলডিপির ড. রেদওয়ান আহম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন৷
স্থানীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম-আহ্বায়ক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জিল্লুর রহমান প্রমুখ৷
খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা এবং আশ-পাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা৷ সমাবেশস্থলের আশ-পাশের সড়ক ও অলি-গলিতে তোড়ন, ব্যানার, ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে খালেদা জিয়ার আগমনকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা৷
এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে রূপগঞ্জ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে প্রিয় নেত্রী স্বাগত জানাতে মহাসড়কের দুই ধারে রং- বেরংয়ের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার নেতাকর্মী৷ স্লোগানে- স্লোগানে ও ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তারা স্বাগত জানান খালেদা জিয়াকে৷মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে নিজের আসন গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া৷ বক্তব্য রাখা শুরু করেন বিকেল সোয়া ৫টায় ৷খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে সাড়া পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন সহ স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মাঝে৷কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশের মূল ভেনু্য নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকা৷
খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা এবং আশ-পাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসেছেন নেতাকর্মীরা৷ সমাবেশস্থলের আশ-পাশের সড়ক ও অলি-গলিতে তোড়ন, ব্যানার, ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে খালেদা জিয়ার আগমনকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা৷