দৈনিকবার্তা-স্পোর্টস ডেস্ক, ২১ সেপ্টেম্বর: বাবা হয়ে কখনো ছেলের প্রশংসা করেননি ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ঠিক যেমনটি ছিলেন টেন্ডুলকারের বাবা। ছোট্ট টেন্ডুলকারের কাঁধে কোন কিছু চাপিয়ে দেননি। ছেলে বেলায় দেদার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তাকে। সেই টেন্ডুলকার বড় হয়ে কী হয়েছেন সেটা তামাম ক্রিকেট দুনিয়া জানে।
এবার টেন্ডুলকারের পুত্র অর্জুনের পালা। এখানেই টেন্ডুলকার তার বাবার পদাঙ্কই অনুসরণ করছেন। একবার এক সাক্ষাতকারে লিটল মাস্টার বলেছিলেন, ‘ছোটবেলায় আমার উপর আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার চাপ ছিল না। আমার ছেলে মাত্রই তার ক্যারিয়ার শুরু করেছে। সকলের কাছে অনুরোধ একটা ১৪ বছরের ছেলে যেভাবে জীবন-যাপন করে, অর্জুনকে সেভাবেই চলতে দিন। ওকে খেলাটাকে ভালবাসতে দিন।’ মিডিয়ার অতি উৎসাহী সাংবাদিকদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতেই এমন আবদার লিটল মাস্টারের।
কিন্তু ছেলেটির বাবার নাম যদি হয় শচীন টেন্ডুলকার তাহলে তাকে মিডিয়ার আড়াল করা কঠিনই বৈকি। না, শুক্রবার টেন্ডুলকারের বদৌলতে মিডিয়ার আলো কেড়ে নেয়নি তার পুত্র অর্জুন। স্কুল ক্রিকেটে ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করাতেই চলে আসে মিডিয়ায়। ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে অর্জুন মাত্র ৪২ বলে ১১৮ রান করে একাই সেমিফাইনালে নিয়ে যায়।
যে বাবা ছেলেকে মিডিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনুরোধ করেছিলেন সাংবাদিকদের, সেই টেন্ডুলকারই রোমাঞ্চিত হয়ে টুইট করলেন, ‘স্ম্যাশ মাস্টার ব্লাস্টার টুর্নামেন্টে অর্জুন ব্যাট করতে নেমে সত্যি বল স্ম্যাশ করেছে।’ টেন্ডুলকারের এই টুইটই বলে দিচ্ছে কতটা খুশি হয়েছেন তিনি। আর টেন্ডুলকার পুত্রের এ খবর কি বসে থাকবে! এতক্ষণে হয়তো গোটা ভারতবর্ষ জেনে গেছে টেন্ডুলকার পুত্রের কীর্তি।