দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সম্মান নিয়ে আসবে৷ ছাত্র-ছাত্রীদের এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বমানের প্রতিযোগীও বের হবে৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে যাবে৷ একই সঙ্গে দেশের জনগণও এগিয়ে যাবে৷
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৪’র সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন৷
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে বেড়ে উঠুক৷ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি৷অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷ এদিকে দেশের ৮টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, মাদরাসা ও ভোকেশনালসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণে বিজয়ীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়৷
৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৪’ এ ৮টি শিক্ষা বোডের্র মোট ৪৮১ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেছে৷ এর মধ্যে ছাত্রী ১৬০ জন, ছাত্র ২৬৪ জন এবং ৫৭ জন কর্মকর্তা৷উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- ২০১৪’র উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷ পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরিসহ শিৰাথর্ীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃহত্তর পরিসরে খেলাধূলা আয়োজনের ওপর গুরুতারোপ করেছেন৷
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধূলা আয়োজনের মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করা সম্ভব হবে৷ সফল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা মেধাবী খেলোয়াড় তৈরিতে সহায়ক হবে যারা বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টিসহ একদিন দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে৷
শিৰামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন৷ এছাড়া এতে শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী আরিফ খান এবং এ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী থিম সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ এ সময় প্রচুরসংখ্যক স্কুল ও কলেজের শিক্ষাথর্ী দ্বারা গ্যালারি পূর্ণ ছিল৷ তারা আজ সকালের প্রচ- বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়৷
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আরো বলেন, সরকার শিৰার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাধূলা আয়োজনের উপরও গুরম্নত্বারোপ করেছে৷
তিনি বলেন, সরকার তরুণ-তরুণীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুন্দরেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি
স্কুল ও কলেজগুলোতে নিয়মিতই এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷পরে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিষয়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন৷