দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) যৌথভাবে আয়োজিত “ফ্যাক্টরিং ঃ এলসি’র বিকল্প পন্থা” বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা শনিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়৷ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ডিভিশনের সচিব ড. এম আসলাম আলম গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তৃতায় ডিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান বলেন, ফ্যাক্টরিং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে একটি নতুন ধারণা হলেও বিনিয়োগে অর্থায়নের উত্স হিসেবে এবং ব্যবসায়িক কর্মকান্ড গতিশীল রাখার ৰেত্রে এটি খুবই কার্যকর৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজ বিশেষ করে ৰুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ফ্যাক্টরিং ব্যবস্থা অত্যনত্ম উপরকারী ও কার্যকর হতে পারে৷ তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীক কর্মকান্ডের পরিধি বৃদ্ধিতে ফ্যাক্টরিং ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে৷ তিনি এজন্য ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ীক সংগঠন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দৰতা বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করেন৷
প্রধান অতিথির ভাষনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ডিভিশনের সচিব ড. এম আসলাম আলম আভ্যনত্মরীন ফ্যাক্টরিং কার্যক্রম আরোও জোরদার করার আহবান জানান, যার মাধ্যমে আনত্মর্জাতিক ফ্যাক্টরিং- ব্যবস্থা প্রবর্তনের ৰেত্রে সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেগুলো নিরসন করা সম্ভব হবে৷ তিনি বাংলাদেশে ফ্যাক্টরিং ব্যবস্থা আরোও সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং এ ৰেত্রে অর্থমন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের পৰ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন৷
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশসমূহ নিজেদের ব্যবসায়ে খরচ কমানোর লৰ্যে ব্যাপক ভাবে ফ্যাক্টরিং-এর ব্যবহার করে থাকে৷ তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিং ব্যবস্থা চালু হলে সবেচেয়ে বেশি লাভবান হবে ব্যবসায়ীবৃন্দ, তাই এ ব্যবস্থার ব্যাপক প্রচলনের জন্য দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান৷
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর পরিচালক (গবেষণা, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনসালটেন্সি) ড. প্রশানত্ম কুমার ব্যানাজর্ী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে অভ্যনত্মরীন ফ্যাক্টরিং চালু থাকলেও আনত্মর্জাতিক ফ্যাক্টরিং এখনও তেমনভাবে চালু নয়৷ তিনি জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশের আনত্মর্জাতিক ফ্যাক্টরিং-এর পরিমান ছিল ২৪.১৩ মিলিয়ন ইউরো৷ তিনি বলেন, এ পদ্ধতি আমদানীকারকদের হয়রানির হাত থেকে রৰা করবে এবং ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস করবে৷ তিনি এ ব্যবস্থার কার্যকর প্রয়োগের জন্য কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের উপর গুরম্নত্বারোপ করেন৷
নির্ধারিত আলোচনায় ডিসিসিআই সদস্য এম এস সিদ্দিকী, জনতা ব্যাংক লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এস এ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এঙ্চেঞ্জ পলিশি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ মাসুদ বিশ্বাস অংশগ্রহণ করেন৷ নির্ধারিত আলেচনায় আলোচকবৃন্দ বলেন, এলসি পদ্ধতির ৰেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমূহের সমাধানকরন, ফ্যাক্টরিং ইন্সুরেন্স প্রবর্তন, ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রার চালু, ফ্যাক্টরিং নীতিমালা বিষয়ক গাইড লাইন প্রণয়ন এবং জনবলের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দৰতা বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করেন৷
ডিসিসিআই সচিব এএইচএম রেজাউল কবির মুক্ত আলোচনা সঞ্চালন করেন৷ মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, প্রাক্তন সভাপতি এম এইচ রহমান, এম এ মোমেন, প্রাক্তন উধর্্বতন সহ-সভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবু হোরারয়া, কামরম্নল ইসলাম, এফসিএ, ডিসিসিআই আহবায়ক ক্যাপ্টেন নূরম্নল হুদা, মোঃ ইকরাম ঢালী এবং ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান অংশগ্রহণ করেন৷ আলোচকবৃন্দ ফ্যাক্টরিং বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং এ ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য প্রতিষ্ঠানি
চলচ্চিত্র এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে যে কোন কথা, কাহিনী কিংবা গল্প পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা যায়। জীবনের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতি থেকে শুরু করে জীবনকে বদলে দেয়ার মতো কাজটাও চলচ্চিত্র খুব সহজে করে ফেলে। আর তাই বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতারাও চলচ্চিত্রকে হাতিয়ার বানিয়ে জীবন বদলে দেয়ার গল্পগুলো নিজস্ব ভঙ্গিমায় তৈরি করার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের দিন বদলের হাতিয়ার এখন তরুণদের হাতে।
পাঠশালা ছবির পোস্টার