nasim-

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর: বর্তমান সরকার বিচারপতিদের কলুষমুক্ত করার জন্যই ষোড়শতম সংবিধান সংশোধন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি৷সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম৷

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এবং এশিয়ান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল লীগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সম্মেলন-২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান৷নাসিম বলেন, বিলটি জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়েছে৷জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই এটা সম্পন্ন হয়েছে৷ পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্রেই বিচারপতিদের অপসরণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যাস্ত৷ আমরাও তাই করেছি৷ অতএব এই নিয়ে সমালোচনা করার কোন সুযোগ নেই৷

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরাও আশা করেছিলাম আপীল বিভাগে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের দেয়া শাসত্মি মৃতু্যদন্ড বহাল রাখবে৷তিনি বলেন, আপীল বিভাগ একাত্তরের ঘাতক সাঈদীর মৃতু্যদন্ড বাতিল করে তাকে আমৃতু্য কারাদন্ড প্রদান করেছ৷ আদালত যে রায় দিয়েছে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে৷নাসিম বলেন, আদালতের রায়ের ব্যাপারে যারা সরকারের সাথে জামায়াতের গোপন সমযোতার কথা বলছেন তারা নানা সময়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন৷

তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ এ সরকারের গত মেয়াদে বিচার কাজ শুরম্ন হয়েছিল৷ বিচার কার্যক্রম এখনো চলছে৷প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ১৪ দল মুক্তিযুদ্ধ কালীন মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার সহ সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, জামায়াত বিভিন্ন সময়ে হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে৷ তাদের হরতালে দেশের মানুষের আগেও যেমন কোন সমর্থন ছিল না তেমনি আগামী হরতালেও তারা জনগনের সমর্থন পাবে না৷

এছাড়াও জামায়াত হরতালের নামে দেশে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রৰাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা মোকাবেলা করবে বলে জানান তিনি৷মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান দেশের স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্জন৷ কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বার বার সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে৷

২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জয়ের জন্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের কাছে দোয়া চেয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে৷ তাই আপনারা (হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার) দু’হাত তুলে দোয়া করবেন, আবারও যেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারেন৷

মন্ত্রী বলেন, আমরা বিচারপতিদের সম্মান করি৷ দু-একজন বিচারপতির কারণে সব বিচারপতির সম্মান যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা সংবিধান সংশোধন করছি৷ এই সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য কলুষমুক্ত বিচার অঙ্গন৷এসময় তিনি দাবি করে বলেন, আমাদের এই সংশোধনীতে জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের ( হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার) সকল দাবি-দাওয়া আলোচনার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে৷ তবে এর জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে বার বার ক্ষমতায় আনা দরকার৷

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম বদরুদ্দোজা, এশিয়ান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল লীগ ভারতের সভাপতি ডা.এ. কে.শেঠ৷ এছাড়া বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার বিভিন্ন ডেলিগেটসরা এতে উপস্থিত ছিলেন৷