দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর: বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, দেশে যখন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, তখন ষোড়শ সংশোধিত সংবিধান ন্যাকড়ার মতো ছুড়ে ফেলা হবে৷বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধের ৫০০ দিন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷
আলোচনা সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিশংসন আইন সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সংবিধান ও বিচার বিভাগের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে৷এর আগে এম কে আনোয়ার বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের যে ছক তৈরি করেছেন, সেই অনুযায়ী আন্দোলন হবে৷বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি জনগণের প্রত্যাশিত সরকার নয়৷
এমকে আনোয়ার বলেন, এ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিল আমরা এখনো বাকশালে বিশ্বাস করি৷ বাকশালের দিকেই আমরা এগুচ্ছিতিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য তখন আমরা আমলে নেইনি৷ কিন্ত কিছুদিন পরেই দেখতে পেলাম তারা রাষ্ট্রের সবচেয়ে পবিত্র জিনিস সংবিধানে তারা হাত দিলো৷ এটিকে তারা এমনভাবে কাটা- ছেড়া করল যে, তাদের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে খাপ-খাইয়ে নিলেন৷
কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্যই সংবিধানের এই কাটা-ছেড়া এমনটি উল্লেখ করে এমকে আনোয়ার বলেন, আমরা সংবিধানের এই সংশোধনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি৷ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে ছেড়া নেকড়ার মতো এটি ছুড়ে ফেলে দেব৷
আলোচনা সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে প্রথম অধিবেশনেই সংশোধিত সংবিদান ছেড়া নেকড়ার মতো ছুড়ে ফেলা হবে৷
সাঈদীর রায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের রায় পুরোপুরি না পড়ে কোনো অবস্থাতেই এর প্রতিক্রিয়া দেওয়া যাবে না৷তবে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, কেন সাঈদীর সাজা কমানো হলো সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করেন৷
দিগন্ত টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কবি ফরহাদ মজহার, বাংলাদেশ কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দীন, সাকেদ খান, রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ৷