দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর: স্বাধীনতা না ক্ষমতা-এ দুই বিকল্পের মধ্যে রয়েছে স্কটল্যান্ডের মানুষ। স্কটিশরা কোনটি বেছে নেবেন তা চূড়ান্ত জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার। যুক্তরাজ্য থেকে পৃথক হওয়ার প্রশ্নে স্কটল্যান্ডে এ দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জরিপগুলো বলছে, গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তাই স্বাধীনতাকামী ও এর বিরোধীরা উভয়পক্ষ স্কটল্যান্ডের গণভোট নিয়ে রাজপথে জোর প্রচরণা ও বির্তক চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ ও তারকারা পর্যন্ত রাজপথে নেমে এসেছেন গণভোটের প্রশ্নে।
গণভোটের সব আয়োজন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে স্কটল্যান্ডে উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে সর্বশেষ টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল ও আইসিএম কর্তৃক পরিচালিত তিনটি পৃথক জরিপে দেখা গেছে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রয়েছে ৫২ শতাংশ ও পক্ষে রয়েছে ৪৮ শতাংশ স্কটিশ। বিবিসির অনলাইন জরিপে অবশ্য এ সংখ্যা স্বাধীনতার পক্ষে ৪৮, বিপক্ষে ৪২ ও নিরপেক্ষ ৮ শতাংশ বলা হচ্ছে। তবে স্কটল্যান্ডের এ গণভোট শুধু যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মধ্যে এখন সীমাবদ্ধ নেই। যুক্তরাজ্যের ভেঙে যাওয়া রোধে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাধীনতার প্রশ্নে ‘না’ ভোট দিতে স্কটিশদের প্রতি আহ্বান জানান। ওবামার পথেই হাঁটলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও।
মঙ্গলবার এক বার্তায় ক্লিনটন বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা ও হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য একযোগে যে কাজ করছে, স্কটিশদের স্বাধীনতা তা হুমকিতে ফেলবে। যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতারা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে। স্কটল্যান্ডকে ধরে রাখতে স্কটিশদের আরো বেশি স্বায়ত্বশাসন ও ক্ষমতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল। নিরপেক্ষ ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথও গণভোটের বিষয়ে খুব বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্কটিশদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
স্বাধীনতাকামী নেতা স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার অ্যলেক্স স্যালমন্ড জানিয়েছেন, সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব জনগণ নিজেদের হাতে নিতে আর কয়েক ঘণ্টা পরই ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এটা বেশি ক্ষমতায়নের মুহূর্ত। স্কটল্যান্ডে এ ধরণের মুহূর্ত কখনো আসেনি। স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মানে আমাদের দেশ আমাদের হাতে। স্বাধীন হলে স্কটিশ অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে। স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে বিশ্বে দাঁড়াতে পারবে স্কটিশরা।