দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর: আল কায়দা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান৷ এই নোটিসে বাংলাদেশে আল কায়দার কার্যক্রম পরিচালনায় তারেক রহমানের ইন্ধন থাকতে পারে বলে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷ লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট থেকে ডাকযোগে মঙ্গলবার এই নোটিস পাঠান৷
নোটিসে বলা হয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ ব্যাখ্যা না দিলে এবং জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
নোটিস পাঠানোর পর তারেকের আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, মাহবুব উল আলম হানিফ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ওই কথা বলেন৷সমপ্রতি আল কায়দা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি এক ভিডিও টেপে বাংলাদেশে সংগঠনের বিস্তৃতি ঘটানোর কথা বলেন৷
এরপর হানিফ গত ৫ েেসপ্টেম্বর বিএনপি নেতা তারেককে জড়িয়ে ওই বক্তব্য দেন বলে এর প্রমাণ হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বরের সমকাল, ইনকিলাব, জনকন্ঠসহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখান৷আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফের আগে আরেক বক্তব্যের জন্য প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদকেও আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন তারেক৷
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে সংবাদ সম্মেলনে ডাকযোগে পাঠানো এ লিগ্যাল নোটিশ সম্পর্কে অবগত করেন৷গত ৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হানিফ বলেছিলেন, তারেক রহমান মাফিয়া ডন দাউদ হায়দারের সঙ্গে বৈঠক করেছে৷ সেই বৈঠকে তারেক আলোচনা করেছে বাংলাদেশে একটি আল কায়েদা সংগঠন খোলা হবে৷
তারেক রহমানের উকিল কায়সার কামাল বলেন,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, হানিফের বক্তব্য ভিত্তিহীন বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷আগামী দুসপ্তাহের মধ্য হানিফকে ব্যক্তিগতভাবে তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে৷ নইলে তার বিরুদ্ধে তারেক রহমান মামলা দায়ের করবেন৷