দৈনিকবার্তা-অনিমেষ রয়-নয়াদিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর: যতবারই বলা হয়েছে জঙ্গিঘাঁটির অস্তিত্বের কথা, ততবারই তা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। এ বার তাই বিএসএফ ৭১টি এমন জঙ্গিঘাঁটির তালিকা তাদের ধরিয়ে দিল, যেগুলি বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত। ২০-২৫ অগস্ট দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের মাটি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারত-বিরোধী কাজের উৎসস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এর সঙ্গে জুড়েছে বাংলাদেশও। বোড়ো, নাগা, আলফাদের ঘাঁটি ছাড়াও আইএসআই মদতপুষ্ট মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলি রয়েছে। কখনও আবার পাকিস্তান জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখান থেকে তারা পশ্চিমবঙ্গ বা অসম সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে ঢুকছে ভারতে। ওপার বাংলায় খুলনা, কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, রোহনপুর ইত্যাদি জায়গায় ৭১টি জঙ্গিঘাঁটি সক্রিয় বলে দাবি করেছে বিএসএফ। সেই শিবিরগুলিতে কারা কারা মাথা, কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র মজুত রয়েছে, কত ক্যাডার রয়েছে ইত্যাদি তথ্য জানানো হয়েছে বিজিবি বা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে।
বিএসএফ কর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে কিছু মৌলবাদী সংগঠনের চাঁইদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের। এরা যেমন ভারতকে সহ্য করতে পারে না, তেমনই চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের ‘উপনিবেশ’ হয়ে উঠুক। এরাই প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশে জঙ্গিঘাঁটিগুলি চালাতে সাহায্য করছে বলে খবর। বিএসএফের রিপোর্ট পেয়ে এখন বিজিবি কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখতে হবে।