Taimur Alomদৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে চুরির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ৷ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মেহেরবা প্লাজার চেম্বার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পল্টন থানায় নেওয়া হয়৷এরপর সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে৷পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

তিনি জানান, তৈমুর আলম খন্দকার জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি৷ রাজধানীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণীতে অবস্থিত বধির ভবন৷ ভবনটির বেজমেন্টের একজন ভাড়াটিয়া তৈমুরসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করেছে৷ ১০ সেপ্টেম্বর ওই চুরির ঘটনা ঘটে৷

এই ঘটনায় বাদি হয়ে ভাড়াটিয়া সৈয়দ রুহুল আরেফিন ১১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন৷ পল্টন থানায় দায়ের করা মামলা নং-২০৷পল্টন থানার ডিউটি অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷

তিনি বলেন, রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি বধির মার্কেটের একটি দোকান মার্কেটের সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকারের কাছ থেকে ৬০ বছরের জন্য লিজ নেন৷ কিন্তু তৈমুর আলম খন্দকার তার লিজ বাতিল করে তাকে সেখান থেকে উত্‍খাতের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র এবং মামলা পর্যন্ত করেন৷ একটি মামলায় হাইকোটের্র রায় রুহুল আমিনের পক্ষেও রয়েছে৷ এরপরও গত ১১ সেপ্টেম্বর তৈমুর আলম খন্দকারসহ তার সহযোগীরা রুহুল আমিনের দোকানের তালা ভেঙ্গে সেখানে ইলেকট্রিকের মালামাল তছনছ করেন৷ এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন৷

আর এ মামলায় তৈমুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তিনি থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন৷ডিউটি অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান আরও জানান, কোনো রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি৷

সোমবার বিকেলে রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় তার কার্যালয় থেকে পল্টন থানা পুলিশ তৈমুরকে গ্র্রেফতার করে নিয়ে যায়৷বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জুনিয়র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান কজানান, তৈমুরকে বর্তমানে পল্টন থানায় রাখা হয়েছে৷

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, সোমবার সকালে ঢাকার উচ্চ আদালতে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া মোহাম্মদ অপুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি করতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে তার বাক-বিতণ্ডা হয়৷পরে বিকেলে জাতীয় বধির ফেডারেশনের একটি মামলায় ঢাকার মেহেরবা প্লাজার ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷