দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪সেপ্টেম্বর: দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ভাই মনজুর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত৷
গুলশানে এক বিঘা ১৩ কাঠা ১৪ ছটাক আয়তনের একটি সরকারি বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালত এ আদেশ দেয়৷রোববার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ জহুরুল হক এ আদেশ দেন৷ শুনানিকালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আদালতে উপস িপ্রতিবেদক/ জিএম/ ফোকাস বাংলা/ ১৭১০ ঘ.
্থত ছিলেন৷
মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ গত ২৬ মে ঢাকার সিএমএম আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরম্নদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন৷দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন৷
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৯৬০ সালের ২৪ আগস্ট গুলশান আবাসিক এলাকার এক বিঘা ১৩ কাঠা আয়তনের (হোল্ডিং ১৫৯) পস্নটটি পাকিসত্মানী নাগরিক মো. এহসানকে হসত্মানত্মর করে তত্কালীন ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক)৷পরবর্তীতে লিজ গ্রহিতার প্রত্যার্পণ সংক্রানত্ম আবেদনের ভিত্তিতে তার স্ত্রী মিসেস ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ (অস্ট্রেলিয়ান) এর নামে ওই প্লটটি ১৯৬৫ সালে লিজ দলিল হিসেবে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়৷
সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি তালিকা প্রণয়ন সংক্রানত্ম ‘মিনিস্ট্রি অব কেবিনেট অ্যাফেয়ার্স জারির আগেই মিসেস ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ ও মুক্তিযুদ্ধের পর পরই তার স্বামী মো. এহসানের দেশত্যাগের কারণে উক্ত পস্নটটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়৷মামলায় বলা হয়েছে, মওদুদ আহমদ উক্ত সম্পত্তি আত্মসাতের অসত্ উদ্দেশ্যে নিজেকে মিসেস ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ প্রদত্ত আম মোক্তার নামার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দাবিদার দেখানোর জন্য ৭৩ সালের ২ আগস্ট একটি আমমোক্তারনামা তৈরি করেন এবং তা ব্যবহার করে এ বাড়ি আত্মসাত্ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়৷মনজুর আহমদ বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন৷