আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাসে আর কোনো মতামত নেয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক৷

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘আইনগত সহায়তার ক্ষেত্রে সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক জাতীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন৷তিনি বলেন, বিচারকদের অপসারণের বিষয়ে যখন আইন করা হবে,তার আগে আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজসহ সংশিস্নষ্টদের মতামত নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি অপসারণের (অভিশংসন) ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাসে কোনো মতামত নেয়ার সুযোগ নেই৷

আনিসুল হক বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে আর কারো মতামত নেয়ার প্রয়োজন নাই৷ কিন্তু সংবিধানের সংশোধনে যে অপসারণ কথাটি থাকবে, সে অপসারণ কথাটি সংবিধানে থাকাই শেষ নয়, এ বিষয়ে একটি আইন করতে হবে৷ আর এই আইন করার সময় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হচ্ছে, তাতে বিচার বিভাগের সম্মান বাড়বে৷ বিচার বিভাগ সুরক্ষিত হবে৷ আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ কারও একার নয়৷ যারা বিচার বিভাগ নিয়ে চিনত্মা করেন এখানে তাদের সকলের অবদান থাকবে৷

এর আগে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) আইনটি বাসত্মবায়নের উদ্যোগ নেয়৷ এই আইনে বিভিন্ন জেলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলছে৷ তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৬৪টি জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যক্রম শুরম্ন হয়েছে৷ বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রে এটি একটি মহত্‍ ও ইতিবাচক কার্যক্রম৷

কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিস এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এ সম্মেলনের আয়োজন করে৷ সম্মেলনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এ এস এস এম জহিরম্নল হক, কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসের টিমলিডার হেক্টর ডিয়াজ সোলিমান, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, ডিএফআইডি বাংলাদেশের সিনিয়র গভনর্্যান্স অ্যাডভাইজার ও গভনর্্যান্স টিমলিডার রিচার্ড বাটার ওয়ার্থ বক্তৃতা করেন৷