imagesদৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ১৩সেপ্টেম্বর: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সারা পৃথিবীতে আকাশ কিন্তু খোলা, কোন কিছুই বন্ধ করা যাবে না৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন বিয়য়েই সহজে পৌছানো সম্ভব৷ আমাদের সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ কোন বিষয়ই আমরা প্রচার হতে দিতে চাই না৷শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন৷

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে ভালো-মন্দ, পরিচ্ছন্ন-অপরিচ্ছন্ন, সংস্কৃতি-অপসংস্কৃতি আছে৷ আমাদের সনত্মানকে এমনভাবে তৈরী করতে হবে যা’তে তারা সকল অপসংস্কৃতি বর্জন করে, পাশাপাশি সঠিক সংস্কৃতিকে যা’তে তারা গ্রহণ করে৷ আর সেভাবেই আমাদের ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মকে গড়ে তোলাও আমাদের দায়িত্ব৷

মন্ত্রী আরো বলেন, এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চির-নিদ্রায় শুয়ে আছেন৷ এজন্য এ স্থানটি আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য এবং আমাদের ইতিহাসের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান৷ এজন্য বঙ্গবন্ধু মাজারের পুরো এলাকাটি সুন্দর ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা, সময়ের আবর্তণে এখানকার বিভিন্ন ভবনের যেসব ক্ষতিগুলো হয় তা চিহ্নিত করা৷ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি প্রতিনিয়ত এখানে যেসব মানুষগুলো আসেন তাদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করাসহ নানা বিষয় নিয়ে আজকে আমরা এসেছি৷ এখান থেকে আমরা ঢাকায় ফিরে এখানকার নানা সমস্যা ও সমাধান একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট প্রসত্মাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করব৷ তার অনুমোদন নিয়ে আমরা দ্রুত এখানকার সমস্যার সমাধানে কাজ করতে চাই৷

এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় পৃথক ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধী সৌধের বেদীতে পুষ্পমান্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, গর্ণপূর্ত ও গৃহয়ণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আহসানুল হক স্বপন জাতির জনকের সমাধিবেদীতে পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বহিতে স্বাক্ষর করেন৷ এরপর তারা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পুরাতন বাস ভবন ঘুরে দেখেন৷

এসময় সেখানে আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শেখ মোহম্মদ আব্দুলস্নাহ, জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোসত্মফা, সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর-মেয়র এস এম ইলিয়াস হোসেন সহ ওই তিন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷