দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১সেপ্টেম্বর: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মহত্ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাংকগুলো মানুষের উন্নয়নের বড় খাত শিক্ষায় সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) কার্যক্রম করছে৷যেসব মানুষ শিক্ষা পায় না,তারা ভালোভাবে বিকশিত হতে পারে না৷
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন৷এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী বক্তব্য দেন৷অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, কর্পোরেট স্যোশাল রেসপনসিবিলিটিজ (সি এস আর) কর্মসূচির আওতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিত্তবানদের উচিত সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা৷ বিশেষ করে শিক্ষার প্রসারে সিএসআর যথেষ্ট ভুমিকা রাখতে পারে৷
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো শিক্ষাখাতে ভাল সিএসআর করছে৷ এতে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে৷ তারা মেধা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে৷তিনি বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পদের কিছু অংশ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার মধ্য দিয়ে সিএসআর কার্যক্রম করতে পারেন৷ হোক সেটি সামান্য৷ আর এটিকে মানবিক কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷মুহিত বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় করলে সবচেয়ে ভাল প্রতিদান পাওয়া যায়৷ সিএসআরের অনুদান পাওয়া ব্যক্তির পাশাপাশি দেশ ও সমাজ এর থেকে উপকৃত হয়৷
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পদের কিছু অংশ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করলেই সেটা সিএসআর হয়৷ এটি একটি সামাজিক ও মানবিক কাজ৷ ১৮০৭ সালে হাজী মুহাম্মদ মহসীন এটি শুরু করে গেছেন৷
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী বলেন, সিএসআর কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে উত্সাহ দেওয়া হচ্ছে৷বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি-সহায়তার কারণে যে কোন দুর্যোগে ব্যাংকসমূহ সিএসআরের আওতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে৷
এ কে আজাদ গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃত্তির পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দেন৷ সভাপতির বক্তব্যে শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ সমপ্রতি অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্য প্রদানকারীর উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রীকে যারা জানেন, তারা মানেন৷ কারো স্বার্থে আঘাত লাগলে অনেক কথা বলি আমরা৷ ভালোমন্দ যাচাই করি না৷ নির্বাচনের জন্য আবুল মাল আবদুল মুহিত কারো কাছে টাকা চান না৷
তিনি বলেন, কেউ দিলে খরচ শেষে বাকিটা আবার ফেরত দিয়ে দেন৷ ব্যাংক খাতে স্বচ্ছতা ফিরে আসলে আরো বেশি বিনিয়োগ বাড়বে৷ অর্থমন্ত্রীকে কর আদায়ের ক্ষমতা দেওয়ার দাবি করেন একে আজাদ৷ তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্তভাবে৷
২০১৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির টাকা প্রদান করে ব্যাংকটি৷ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০ হাজার টাকা ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যোককে ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়৷