21-august-graned-attack-3-1-300x177দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮সেপ্টেম্বর: বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-সংক্রান্ত মামলায় জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন৷সোমবার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবু্যনালে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন ৭০ বছর বয়সী এই নারী৷

সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবু্যনাল-১-এ তিনি সাক্ষ্য দেন৷ বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন জোবেদা খাতুনের জবানবন্দি নেন৷ আগামী বুধবার আসামিপক্ষের জেরার দিন ধার্য করা হয়েছে৷ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে৷ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন৷

ট্রাইবু্যনালের বিচারক মো. শাহেদ নূর উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষের ১০২তম সাক্ষী হিসাবে জোবেদার জবানবন্দি গ্রহণ করেন৷জজ মিয়ার বোন খোরশেদাও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ আদালত জজ মিয়া ও খোরশেদার সাক্ষ্য মামলার পরবর্তী কোনো দিন শুনবে বলে এ ট্রাইবু্যনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান৷২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সেই গ্রেনেড হামলার পর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসাবে ঘটনাস্থলে যাওয়ামেজর মারুফ হোসেনকে এদিন আদালতে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা৷

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সেই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের বছর ৯ জুননোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিরকোট গ্রাম থেকে জজ মিয়াকেগ্রেপ্তার করা হয়৷ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ আদায়ের পর জজ মিয়াকে আসামি করেই ২০০৮ সালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)৷

কিন্তু পরে অধিকতর তদন্তে দেখা যায়, ওই মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য’ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের নির্দেশে সিআইডি জজ মিয়াকে নিয়ে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে৷ সুত্রাপুর থানার একটি মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জজ মিয়াকে ‘রাজসাক্ষী করার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে মিথ্যা জবানবন্দি নেয়া হয় এবং সিআইডির মাধ্যমে তার পরিবারকে মাসিক খরচের টাকা ও দেয়া হতো৷

পরে হাই কোর্ট জজ মিয়াকে ২১ অগাস্টের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া৷

আদালতের নির্দেশে ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ,সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্‍ফুজ্জামান বাবরসহ ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যোগ করে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি৷ তাতে জজ মিয়া ও তার মা- বোনকে সাক্ষী করা হয়৷untitled-1_84720_0

রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে৷ ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ আসামি পলাতক৷বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার আগে ওই গ্রেনেড হামলায় দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন৷আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে৷