দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮সেপ্টেম্বর: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকারের বিষয়ে বলেন, তিনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি৷ কারণ তিনি ইতিপূর্বে সকল সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন৷ সে যদি সত্য কথাই বলবে তবে মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বই লিখলেন না কেন? এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তিনি এ বই লিখেছেন৷
সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷হাসান মাহমুদ বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনি (এ কে খন্দকার) ষড়যন্ত্রকারী কুশীলবদের খপ্পরে পড়েছেন৷ তাই এখন তিনি ইতিহাস বিকৃত করছেন৷
তিনি আরও বলেন,এ কে খন্দকার মোশতাকের সাথে হাত মিলেয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যায় যেমন জড়িত ছিলেন, জিয়ার সাথে আতাঁত করে রাষ্ট্রদূতের চাকরি জুটিয়েছিলেন৷ অন্যদিকে এরশাদের আমলে রাষ্ট্রদূতের চাকির এবং মন্ত্রীত্ব উপহার পেয়েছিলেন তিনি৷হাসান মাহমুদ বলেন, পরবর্তীতে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতা হয়ে আওয়ামী লীগের এমপি ও মন্ত্রীত্ব লাভ করেন তিনি৷ তিনি সর্বদলীয় সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন৷ যদি তিনি এতই সত্য কথা লিখবেন তাহলে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেন লিখলেন না?
তিনি আরও বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের খপ্পরে পরেড়ছেন বলে এমন ঘৃণিত কাজ করতেও তার বাঁধছে না৷ এমন ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতায় আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপিত হয়৷ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি শিগগির তিনি ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন৷
হাছান মাহমুদ বলেন, গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের সংবিধান সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নেই৷ তিনি যে ক্যাটাগরিতে সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ আমরাও সেই ক্যাটাগরিতেই সংবিধান রচনা করছি৷ আমরা সব সময় বলেছি ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাব৷ তার কয়েকটি ধাপ আমরা পার করেছি৷ বাকিগুলো ধীরে ধীরে আমরা পূরণ করবো৷
তিনি আরো বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের বিষয়টা তিনজন বিচারপতির হাতে ছিল৷ এখন এ সংশোধনী হলে কোনো বিচারপতিকে সরানোর ক্ষমতা এই তিনজনের হাতে আর থাকবে না৷ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রথমে বিচারবিভাগ তদন্ত করে সংসদের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে৷ পরে সংসদ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষেয়ে তিনি বলেছেন, জনগণের ক্ষমতা সুরক্ষিত করতেই এ সংশোধণী করা হচ্ছে৷ আগে বিচারপতিদের অপসারণে স্বচ্ছতা ছিল না৷এ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের অপসারণে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হারুণ চৌধুরী প্রমুখ৷