দৈনিকবার্তা-ঢাকা ,৭ সেপ্টেম্বর: সমপ্রতি বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান এ কে খন্দকার রচিত ১৯৭১: ভিতরে বাইরে বই সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, তার স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছে৷
তিনি বলেছেন,এ কে খন্দকারের মতিভ্রম হয়েছে৷বেশি বয়স হলে মানুষের ভীমরতি ধরে, এ কে খন্দকারকে সেই ভীমরতি ধরেছে৷ দেশের মানুষ জানেন কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, কোথাকার কোন এ কে খন্দকার কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না৷ কিন্তু বিএনপির নিজেদের কথা বলার কোনো ইসু্য না থাকায় তারা অন্যের ভুল উক্তি নিয়েই লাফালাফি করছে৷
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া পিটিআই সড়কের নিজ বাড়িতে একটি বেসরকারি কোম্পানির বিশুদ্ধ খাবার পানির প্লান্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷তিনি এ কে খন্দকারের বই নিয়ে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এ কে খন্দকারের বই নিয়ে অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছে৷ এটি দলীয় মতামত না৷ দলীয় সিদ্ধান্ত কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, এ কে খন্দকার নিজেই তাঁর বইয়ে লিখেছেন, বয়সের কারণে তাঁর চিন্তাশক্তি লোপ পেয়ে গেছে৷ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাইরের কোনো অপশক্তি তাঁকে দিয়ে এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর কথা লিখিয়েছে৷
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল৷তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের সময় যখন নিজামী বলেছিল বাংলা ভাই বলে কিছু নাই, এটা মিডিয়ার সৃষ্টি৷ পরে বাংলা ভাইকে ধরার পর তারা চুপসে গেল৷ এখন মির্জা ফখরুল সাহেবরা যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুক, হাওয়া ভবনে বসে তারেক রহমান জঙ্গিবাদি নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে৷
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন৷ বিএনপি প্রাতষ্ঠিত হবার পর থেকে আইএসআইয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে৷ তারেক রহমানও আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তার তথ্যপ্রমাণ আছে৷তারেক জিয়া সমর্্পকে হানিফ বলেন, ৭৫ এর পরে আইএসআই’র দ্বারা বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ তাদের দ্বারাই দলটি পরিচালিত হয়ে আসছে৷দেশের সবাই জানে তারেক জিয়া আইএসআই’র এজেন্ট৷ এটি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা হয়েছে৷
হানিফ অভিযোগ করে বলেন, ফখরুল ইসলামরা বাম সংগঠন করতেন, আর বাম সংগঠনগুলো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল৷ তাই ফখরুল ইসলামরা আজ বড় বড় কথা বললেও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেননি৷
এরপর তিনি কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন৷ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সাংসদ বদরুদ্দোজা গামা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ৷