দৈনিকবার্তা-ঢাকা : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাঁচ হাজার ৫০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক৷ শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০১৪ সালে উত্তীর্ণ এসব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এ বৃত্তি প্রকল্প দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের এক অনন্য দৃষ্টান্ত৷ দেশের অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও সমাজের কল্যাণে এ ধরণের কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি বাংলাদেশের মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে৷১৯৯৮ সালে থেকে বৃত্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা আজকের ৫ হাজার ৫০ জন এক সময় ৫ কোটি ৫০ লাখে উন্নীত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি৷আইনমন্ত্রী এ ধরণের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানে অন্যান্য ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী৷
নেদারল্যান্ডসের রাস্ট্রদূত গার্বেন ডি জং বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত গঠনে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, জন্মলগ্ন থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পূর্ণবাসনে কাজ করে যাচ্ছে৷ ভবিষ্যতে সব ধরণের সমাজকল্যাণ মূলক কাজে অংশগ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে৷
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ দেয়া হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের৷ এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ দেয়া হয় ছাত্রীদের৷ ২০১৪ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পাঁচ হাজার ৫০ জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়৷ বৃত্তি প্রাপ্তদের অর্ধেকই ছাত্রী৷
অর্থমন্ত্রী প্রথমে সিলেটের শারমীন বেগম, লালমনিরহাটের মেহেদী হাসান ও ঢাকার শারমীন আক্তার লিমার হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেন৷ গোবরে সবগুলো পদ্মফুল পুরোপুরি ফুটতে পারে না৷ বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে৷ আর এসব ঝরে পড়াদের সহযোগিতা করতে ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি দিচ্ছে৷ চেষ্টা থাকলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পুরো শিক্ষা জীবন ভরেই পাওয়া যায়৷ এজন্য বৃত্তি পাওয়ার চেষ্টা সবাইকে অব্যাহত রাখতে হবে৷
বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম তাবরেজ ও ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা৷