1_143905.gif

দৈনিকবার্তা-ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৪ শিক্ষার্থী এবং জালিয়াত চক্রের তিন সদস্য শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন। ১৪ শিক্ষার্থীর ৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ৭ জন জবির। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ছিল শুক্রবার। এতে মোট ১ হাজার ১২০ আসনের বিপরীতে মোট ৪৮ হাজার ৯৫৯ ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ ঢাকার মোট ৬২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। এসব কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটিতেই ঘটেছে প্রশ্ন জালিয়াতির ঘটনা। আটক করা হয়েছে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন এমন ৭ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং চক্রের তিন সদস্যকে। তার মধ্যে আটক এক বিচারপতির কন্যাকে বঁাঁচাতে দিনভর নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুুলিশ প্রশাসন।
আটককৃতরা হলেন, শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ কেন্দ্র হতে সানজানা বিনতে বশির, বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ হতে মোঃ ফয়সাল কবির, আজিমপুর অগ্রণী স্কুল কেন্দ্র থেকে মতিঝিল গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র মোঃ আহাদুর রহমান, ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্র থেকে আরিফুল ইসলাম, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ছাত্র নূরুল আফসার পায়েল, এছাড়া গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে দ্জুনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের তথ্যানুযায়ী বিকালে রাজধানীর আজিমপুুরের একটি বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। পরে ওই বাসা থেকে মামুন, শফি আহমেদ ও ইমরান নামের জালিয়াত চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে তারা। এ সময় তারা এসএমএসের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর সরবরাহ করছিল।
জালিয়াতিতে কিভাবে জড়ালেন এমন প্রশ্নের জবাবে আটক সানজানা বিনতে বশির জানান, ইউনিএইডের (কিরণ-সুমন-কবির) ফার্মগেট শাখায় কোচিং করত সে। পরীক্ষার কয়েকদিন আগে তাকে প্রশ্ন জালিয়াতির প্রস্তাব দেয় ওই কোচিংয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তার প্রস্তাব অনুযায়ী ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়। আটককালীন সময়ে তাকে ফোন দেন ওই শিক্ষক। পরে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিক্রমে সে ফোন রিসিভ করলে, আবদুল্লাহ পরীক্ষা কেমন হয়েছে ও টাকার ব্যাপারে জানতে চান। পরে বিকালে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে।
এদিকে আটক সানজানা সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহর মেয়ে বলে জানা গেছে। শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ থেকে মোবাইলে এসএমএস আসা অবস্থায় তাকে আটক করা হয় বলে জানান প্রক্টর। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি জানান, তার বাবা সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে। এ সময় ঘটনার অনুসন্ধানে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গোপন বৈঠক চলছে আপনারা পরে আসেন।’ মিটিং শেষে ডাকা হয় সাংবাদিকদের। এ সময় পরীক্ষার সার্বিক দিক নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও গ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। তিনি জানান, মোবাইলে প্রাপ্ত উত্তর দেখে ওএমআর (উত্তরপত্র) পূরণ করার সময়ে তাকে আটক করা হয়েছে। সেখান থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
আটকের পর থেকেই তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য জোর তদবির করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ নিজামুল হক ভূঁইয়া। শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বারবার পুলিশ প্রশাসনকে ফোন দেন তিনি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রক্টরকে ঘটনা জানানো হলে তিনি আটককৃত সানজানাকে না ছাড়ার নির্দেশ দেন এবং ওই শিক্ষককে ফোন করেন। পঁাঁচবার ফোন দেয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, থানায় নেয়ার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক। সেখানে কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
ঘটনার অনুসন্ধানে শাহবাগ থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, এরকম কেউ তার কাছে আসেননি। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, আমার কাছে এরকম কেউ আসেননি। যেই কেন্দ্রে ঘটনা ঘটেছে সেই কেন্দ্রে খোঁজ নিন। তার কথার সূত্র ধরে, লালবাগ ও চকবাজার থানায় খোঁজ নিলে তারা জানান, এমন কেউ তাদের থানায় নেই। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে ওসি তাকে সুকৌশলে ছেড়ে দেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি। অন্য কোথাও যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই। শাহবাগ থানার ওসির রহস্যজনক আচরণের কারণ জিজ্ঞেস করলে প্রক্টর বলেন, শুধু তার (শাহবাগ থানা ওসি) দোষ দিয়ে কি লাভ? আমাদের শিক্ষকরাও তো তদবির করতে গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি প্রক্টর। তবে প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের জনৈক ডিআইজির ভাই এসে তাকে নিয়ে যান।
এছাড়া ধানমণ্ডির আইডিয়াল কলেজ থেকে আটক আরিফুর রহমানকে ছাড়িয়ে নিতে শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের ১০-১৫ নেতাকর্মী। তারা বলেন, আটককৃত আরিফ কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সভাপতির ছোট ভাই। পরে তাদের তোপের মুখে থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়। প্রশ্ন ফঁাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে ইউনিএইড, প্যারাগন ও ইউসিসি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ের জড়িত থাকারও প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অধিকতর অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
যেভাবে ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। যখন পরীক্ষা শুরু হয় তখন একটি চক্র সুকৌশলে প্রশ্নপত্রের একটি কপি বাইরে নিয়ে যায়। ব্যবহার করা হয় মোবাইলের ক্যামেরাও। যা দিয়ে ছবি তুলে ছবিটি বাইরে পাচার করা হয়। বাইরে বিভিন্ন কোচিং শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ৫-৬ জনের একটি টিম প্রশ্ন সমাধান করে। পরে শিক্ষার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে কোডটি জানিয়ে দিতে বলা হয়। সেটি জানানোর পর, একটি পর একটি এসএমএসের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে উত্তরপত্র পাঠানো হয়। অনুসন্ধানে এ প্রক্রিয়ার বাস্তবতাও খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ অনেকগুলো ভর্তি কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহকৃত প্রশ্ন টান পড়ে। তাই ফটোকপি করে তাদের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সব প্রশ্ন বাইরে পাচার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযানে যা উদ্ধার হল : উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আটকৃতদের থেকে জব্দ করা বিভিন্ন সরঞ্জাম খুলে দেখেন প্রক্টর। আটককৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবহৃত মুঠোফোন, হেডফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড। তন্মধ্যে নুরুল আবসারের কাছ থেকে সাতটি সিমকার্ড, দুটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তমা কনস্ট্রাকশন এলাকা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফঁাঁসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, কার সঙ্গে কত টাকার কনট্রাক্ট করা হয়েছে। কার কেন্দ্র কোথায়? কে কোন কেন্দ্রে তদারকি করবে? মামুন নামক একজনের নির্দেশে পাঁচটি এলাকার পাঁচটি কেন্দ্রে কারা কারা দায়িত্ব পালন করবে সে বিষয়েও নানা তথ্য পাওয়া যায় উদ্ধার হওয়া ফাইলটি থেকে। এছাড়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রশ্ন ফাঁসরত অবস্থা এজনকে কর্তব্যরত শিক্ষক দেখে ফেললে সে দৌড়ে পালায়। কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এ ছাত্রের নাম সাগর হোসেন। পিতা আমিরুল ইসলাম। পালানোর সময় ফেলে যাওয়া ফাইলে সে দুটি মোবাইল ফোন রেখে যায়। উদ্ধারকৃত প্রত্যেকটি ফোনে প্রশ্নের উত্তরসহ এসএমএস পাওয়া গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সাত শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- দীপু রায় (রোল নম্বর-১৩১০৯৫৬), ইউসুফ ভূঁইয়া (রোল নম্বর-১৩১৫৭৮০), প্রীতম দাস (রোল নম্বর-১৩১৬৪৭০), মোঃ ইমরান হোসেন (রোল নম্বর-১৩১১৩১০), মোঃ আবুল হাশেম (রোল নম্বর-১৩১১৩২৯), আশিকুজ্জামান (রোল নম্বর-১৩১৫৯৫০) এবং রাজন আহমেদ (রোল নম্বর-১৩১৬৮৩০)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ২২টি কেন্দ্রে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষ অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সাত শিক্ষার্থীকে আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি আটককৃত শিক্ষার্থীদের জালিয়াতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটককৃত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর পাওয়ার জন্য একটি চক্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ সময় আটককৃতরা তাদের সহায়তাকারী হিসেবে ঢাকা কলেজের রানা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এনামুল ও সৈকতকসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেন। আটককৃত আবুল হাশেম বলেন, সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সৈকতের সঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। পরীক্ষার পর তাকে ওই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহম্মাদ যুগান্তরকে বলেন, আটককৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পর তাদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এবার ‘সি’ ইউনিটে ৬২০টি আসনের (বাণিজ্য- ৫৪০টি, অন্যান্য-৮০টি) বিপরীতে মোট ৪৫ হাজার ৫৩২ জন আবেদন করেন। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।
আট শিক্ষার্থীর বিরদ্ধে মামলা : এদিকে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বিভিন্ন কেন্দ্র হতে আটক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নগরীর বিভিন্ন থানায় এসব মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী দৈনিকবার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।