দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬সেপ্টেম্বর: দেশে গণতন্ত্রের সকল স্বাভিবিক প্রক্রিয়া বন্ধ করে পরিবেশ সৃষ্টি করায় দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ শনিবার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণিকে দেখে ফেরার পথে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷
আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির বাংলাদেশে কাজ করার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেন,সরকার দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানে সুযোগ সৃষ্টি করছে ৷
তিনি বলেন,আল-কায়দা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি সামপ্রতিক অনলাইন ভিডিও বার্তার পর এটা পরিষ্কার যে আওয়ামী লীগ আমলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়৷তারা সেই পরিবেশ তৈরি করে দেয়৷ কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না৷গণতন্ত্রের জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে গেলে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে৷ আওয়ামী লীগের কারণে বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে বলে আমরা মনে করি৷
বুধবার অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ভারতে শাখা খুলে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে কাজ করার ঘোষণা দেন আল জাওয়াহিরি৷ এক ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদা নেতা বলেন, এই পদক্ষেপ উপমহাদেশে ইসলামিক আইনের প্রসার ও জিহাদের পতাকা সমুন্নত রাখবে৷শুক্রবার ধানমন্ডি মসজিদের জুম্মার নামাজ পড়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আর এ গনিকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ মির্জা ফখরুল এই প্রবীণ নেতার পাশে কিছু সময় অবস্থান করে চিকিত্সকদের কাছ থেকে তার খোঁজ-খবর নেন৷
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আইসিইউ থেকে দেখে এসে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আর এ গনি এখন সুস্থ আছেন৷তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে৷ চিকিত্সকরা আশা করছেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন৷তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল৷একই সময় লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ফখরুলকে৷ওই অনুষ্ঠানে তারেক ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে তার অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন৷
এ বিষয়ে বিএনপি মুখপাত্র বলেন,এ বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে৷ এটা সঠিক নয়৷বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল৷ তারেক রহমানও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন৷গণতন্ত্রে সব পথ ও মতকে বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে৷ গণতন্ত্রে বহু মতে ও পথের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে৷ তারা করতেও পারেন৷ এখানে কোনো বাধা নেই৷
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সফর সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক হবে বলে আমরা মনে করি৷ পত্র-পত্রিকায়দেখেছি, তিনি বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন৷ এসব প্রস্তাব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে৷