দৈনিকবার্তা-ঢাকা,০৪ সেপ্টেম্বর: বিএনপি ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকারের কোনো উস্কানিতে আমরা পা দেব না৷ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব৷ এই সরকারের কাজ থেকে শিগগিরই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করেই ছাড়ব৷ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরেকটি নির্বাচন আদায় করে ছাড়বে৷
বৃহসপ্রতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ঢাকা মহানগর (উত্তর) আয়োজিত তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷
মির্জা আব্বাস বলেন, শহীদ জিয়ার নাম শুনলে আওয়ামী লীগ নেতা ও কিছু বুদ্ধিজীবীদের হৃদ স্পন্দন বেরে যায়৷ আর তারেকের নাম শুনলে তাদের গায়ে চুলকানি ধরে৷আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, লম্বা লম্বা বক্তব্য দিয়ে তারা বলে বিএনপি কোনো দল নয়৷ তাহলে কেন বিএনপির নেতাদের নামে এত মামলা দিচ্ছে, কেন গ্রেফতার করছে অবৈধ সরকার৷
সরকারের সমপ্রচার নীতিমালা ও বিচারকদের অভিশংসন আইনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই প্রবীন নেতা বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে৷ যা সমপ্রচার নীতিমালা ও বিচারকদের অভিশংসন আইন করে প্রমাণ করেছে৷ তারা হয়ত কয়েক দিন পর বলবেন বাড়ি থেকে বের হতে হলে তাদের অনুমতির দরকার হবে৷
সরকার পরোক্ষভাবে বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, লক্ষ্মীবাজারের অস্থায়ী আদালত চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেত হতে পারবেন না এমন নির্দেশ তো দেওয়া ছিলো না৷তারপরও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশি হামলা কেন?তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়শই বলেন, বিএনপি নাকি কোনো দলই না৷ তাহলে সেই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এতো মামলা দিচ্ছেন কেন?
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলন করতে চাইলে ভাইদের নামে স্লোগান দেওয়া বন্ধ করেন৷ এতে কোনো লাভ হবে না৷ যার যার এলাকায় গিয়ে সংগঠন গোছান, আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন৷
তিনি বলেন,জিয়াউর রহমানের কথা শুনলে সরকারের কম্পন শুরু হয়৷ আবার তার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানের কথা শুনলেও সরকার অস্থির হয়ে ওঠে৷ অথচ তিনি (তারেক) যে বক্তব্য দেন, তা তথ্যের ভিত্তিতেই দেন৷তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণ উল্লেখ আব্বাস বলেন, অজ্ঞাত, অখ্যাত লোক হঠাত্ করে মন্ত্রী হয়ে নেত্রীকে খুশি করার জন্য তারেক রহমানকে নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলছে৷
তারেক রহমান এখন সুস্থ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) দম্ভ করে বলে তারেক যদি এত কথা বলে তাহলে দেশে এসে বলুক৷তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে মহীরুহে পরিণত হয়েছেন দাবি করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জেলে থাকা অবস্থায় তিনি মুক্তির কথা চিন্তা করেননি৷সবসময় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করেছেন, দেশের বিদু্যত্ ঘাটতি কতো, এটি পূরণ করা যায় কীভাবে; খাদ্য ঘাটতি কতো, সেটি পূরণ করা যায় কীভাবে- এসব নিয়ে?
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির শিল্প বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহাজাদা মিয়া, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সহ-সভাপতি এ কে আজাদ প্রমূখ৷সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম রিয়েল নোমান৷