দৈনিকবার্তা-নড়াইল, ৩০আগষ্ট: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান বলেছেন, অসামপ্রদায়িক সুলতান ছিলেন আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির ধারক৷চিত্রাংকনের পাশাপাশি তিনি জারি, সারি, ভাটিয়ালি, কীর্ত্তন, ভজন, নাটক,কবিতা চর্চা করতেন৷আর এ কারণে তিনি তত্কালীন প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, গায়ক এবং সংঙ্গীতজ্ঞদের সংস্পর্শে যেতেন৷
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯০তম জন্মজয়নত্মী উপলক্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে সুলতান মঞ্চ চত্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সুলতান উত্সব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন৷
প্রধান অতিথি আরও বলেন, মাটি ও মানুষের শিল্পী সুলতানের ছবির প্রধান বিষয়বস্থ ছিল এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ৷ তিনি ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক৷ জন্মভূমি তথা নড়াইলের টানে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়েও আবার ফিরে এসেছেন৷এমনকি তিনি নড়াইল ছেড়ে ঢাকা গিয়েও থাকতে চাননি৷
এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারম্নকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড.শফিক আহমেদ সিদ্দিকী, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর রবিউল ইসলাম ও সাবেক সদস্য সচিব এডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদা৷
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩০ জন শিশু এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা ও ভারত থেকে আসা ৩০জন চিত্রশিল্পীকে পদক পরিয়ে দেন৷সেমিনার শেষে গভীর রাত পর্যনত্ম স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন মূর্ছনার শিল্পীরা এবং কুষ্টিয়া থেকে আসা শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন৷