দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০আগষ্ট: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এম পি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠনের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি শিগগিরই নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন৷তিনি শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সনত্মান কমান্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের উত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷
সংগঠনের আহবায়ক মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্সের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মুর্শেদ খান বীরবিক্রম, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক৷
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সনত্মান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমূখ৷আ.ক.ম মোজাম্মেল বলেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী যাতে দেশে রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য শিগগিরই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে৷
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোন দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারীরা সে দেশে রাজনীতি করতে পারে নি৷ আমাদের দেশেও পারবে না৷ আর তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এটাই উপযুক্ত সময়৷তিনি নতুন প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় না এলে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের বিচার হতো না তেমনি মুক্তিযুদ্ধ কালে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধেরও বিচার হতো না৷
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হয়েছে এবং আংশিক রায় কার্যকর হয়েছে৷ এ মামলার মৃতু্যদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে এ মামলার রায় কার্যকর করা হবে৷আ.ক.ম মোজাম্মেল বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলছে৷ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শেষ হয়েছে৷ তাদের মামলার রায় হয়েছে এবং একজনের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে৷
তিনি এ বিষয়ে বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ সংক্রানত্ম অবশিষ্ট মামলাগুলোর ও রায় আসবে এবং বর্তমান সরকারের সময়ই এ সব মামলার রায় কার্যকর হবে৷ এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই৷
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে নতুন প্রজম্মকে শপথ নেয়ার আহবান জানান৷