দৈনিকবার্তা -ঢাবি,২৮আগষ্ট : প্রস্তাবিত খসড়া শিক্ষা আইন-২০১৪ পর্যালোচনা করা হয়েছে৷ আর পর্যালোচনায় ২০১৪ সালের শিক্ষা আইন অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বত্সরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হবে৷বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ঢাকা কলেজ সংলগ্ন বাংলাদেশ শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমী নায়েম কনফারেন্স হলে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৪” পর্যালোচনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে৷ শিক্ষা আইনের ৬৪ নম্বর ধারায় এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়৷
কর্মশালায় প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৪ শীর্ষক খসড়া আইন পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (অডিট ও আইন) মো. রফিকুজ্জামান৷ বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে৷প্রস্তাবনার শুরুতেই উল্লেখ করা হয় এই শিক্ষা আইন ২০১৪ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে৷ এছাড়া বাংলাদেশের সমগ্র এলাকায় এবং বিদেশে অবস্থিত ও বাংলাদেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত শিক্ষাঙ্গনের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হইবে৷ পর্যালোচনায় তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক, উপানুষ্ঠানিক বয়স্ক ও জীবনব্যাপী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মোট চার স্তর বিশিষ্ট শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে৷ এতে ৬৭টি ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে৷
যার চার নং ধারায় উল্লেখ করা হয় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে৷ এ সম্পর্কে বলা হয়, শিক্ষার প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তুলিবার লক্ষ্যে ৪ বত্সর হইতে ৬ বত্সর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের দুই বত্সর মেয়াদের বিদ্যালয়/ মাদরাসায় প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হইবে৷ প্রাথমিক শিক্ষার স্তর হইবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত৷ প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণীর শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হইবে৷
৫ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকালীন শিশুকে কোনো প্রকার মানসিক নির্যাতন বা শারীরিক শাস্তি প্রদান করা যাইবে না এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করিবার জন্য কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করা হইবে৷
৮ নং ধারায় উল্লেখ্য করা হয়, প্রাক-প্রাথমিকসহ প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করিতে হইবে এবং কোনরুপ ভর্তি ফি গ্রহণ করা যাইবে না৷
৯ নং ধারায় উল্লেখ্য করা হয়, সকল ধরণের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ কোটা সংরক্ষণ করা হইবে৷
১০ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনের কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজি মাধ্যম ও এবতেদায়ী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করিতে হইবে৷
১৫ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইটির বেশি সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত বা নির্বাচিত হইতে পারিবে না৷
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব সোহাইনের সভাপতিত্বে এ সময় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ৷