দৈনিকবার্তা বিনোদন ডেস্ক,২৭আগস্ট: আপাতত মুম্বাইয়ে একটা বিগ-বাজেট লড়াই চলছে সঞ্জয় লীলা বনশালী আর অজয় দেবগনের মধ্যে। হিসেব বলছে, ‘বাজিরাও মস্তানি’ হতে যাচ্ছে বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। ছবির নানা বিভাগ এবং প্রচারের খরচ মিলিয়ে এ ছবির জন্য খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। তা না হয় হল, কিন্তু খরচ করে ফেললেই তো হল না, সে টাকা তো উঠেও আসতে হবে। হিসাব বলছে ছবিটাকে শুধু ভারতের বক্স অফিস থেকে খুব কম করে হলেও ১০০ কোটি টাকা তুলে আনতে হবে। এ ছাড়া উপগ্রহ স্বত্ব ইত্যাদি বিক্রি করে তুলে আনতে হবে আরো ১০০ কোটি। না হলে কিন্ত্ত লোকসান হয়ে যাবে। সুতরাং লাভের মুখ দেখানো সঞ্জয়ের কাছে একটা বড় লড়াই। কিন্ত্ত শুধু লাভের টাকা ঘরে তোলাই কিন্ত্ত একমাত্র লড়াই নয়। এ ছবিতে বাজিরাওয়ের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল অজয়ের। কিন্ত্ত তিনি অজয়কে বাদ দিয়েছেন তেমন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়াই। এ দিকে ‘সিংহম রিটার্নস’ দিয়ে অজয় প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনিও ১০০ কোটি ক্লাবের অনায়াস সদস্য।
হঠাত্ অজয়কে বাদ দেওয়ার কারণ কী? সঞ্জয়ের যুক্তি, ‘সিংহম’ আর ‘বাজিরাও’-এ অজয়ের নাম একই রকম হওয়ার দর্শকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। তাই অন্য অভিনেতার প্রয়োজন। প্রসঙ্গত ‘সিংহম’-এ অজয়ের চরিত্রের নাম বাজিরাও সিংহম৷ আর এই ছবির চরিত্রটির নাম পেশোয়া বাজিরাও।
এই ব্যাখ্যা শুনে অজয় বলেছেন, ‘মোটেই এসব কিছু নয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ‘বাজিরাও’ মুক্তি পাওয়ার কথা। তত দিনে মানুষ নতুন ছবি নতুন চরিত্রের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন। এটা কোনও কারণই নয়। উনি কেন সত্যি কথাটা বলছেন না? ডেট, টাকা কোনও কিছু নিয়েই আমাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না বলেই একসাথে কাজ করা হল না।’ প্রসঙ্গত, সঞ্জয় টানা ২০০ দিন ডেট চেয়েছিলেন। কিন্তু অতগুলো ডেট একসঙ্গে দিতে পারেননি অজয়।
সুতরাং অন্য অভিনেতার খোঁজ শুরু করেন সঞ্জয়। নেওয়া হয় রণবীর সিংকে। আর রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেতাদের কস্টিউমের জন্যও বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বাজিরাও পেশোয়ার যুগে যে রকম বস্ত্র, অলঙ্কার, বর্ম ব্যবহৃত হতো, ঠিক তেমন জিনিস ছবিতে ব্যবহার করা হবে। সেট, লোকেশনও যতটা সম্ভব সত্যিকারের মতো করার চেষ্টা হয়েছে। গুণগত, মানগত কোনো ঘাটতি, খামতি রাখতে প্রস্তুত নন বনশালী।