দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৬আগষ্ট: দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন,সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না৷মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক রাষ্টপতি,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবিদাকদের তিনি এ কথা বলেন৷এবারের ঈদের পর আন্দোলনে করবে বিএনপি উল্লেখ করে দলকে সংগঠিত করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস উপায়ে দাবি আদায় করা হবে বলেও জানান বিএনপির এ নেতা৷উল্লেখ্য,রোজার ঈদের আগে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ শীর্ষ নেতারা বলেছিলেন, ঈদের পরই গড়ে তুলবেন জোড়ালো আন্দোলন৷ দলের সাংগঠনিক অবস্থা এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এখন কোরবানির ঈদের পর আন্দোলনের কথা বলছে দলটি৷বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তোয়াক্কা না করে জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা ও বিচারকদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্দ্যেগ নিচ্ছে৷তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার অগণতান্ত্রিক পন্থায় হাঁটছে এবং নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়নের উদ্দ্যেগ নিচ্ছেন৷বর্তমান সরকার ও সংসদকে অনৈতিক এবং জনসমর্থনহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন দলের নেতারা৷সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর রহমান বলেন,নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলনরত আছি৷আমাদের আন্দোলন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতিতে চলছে৷ ঈদুল আজহার পর এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে৷মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান পার্লামেন্ট জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করছে না৷ ভুয়া সংসদ সদস্য দিয়ে এ পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছে৷ তাই অবিলম্বে এটি ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে৷ দেশের জনগণ এটিই প্রত্যাশা করে৷অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জেনারেল (অব.) মাহবুব বলেন, আমরা তো আন্দোলনেই আছি৷ এরইমধ্যে গাজায় গণহত্যা ও জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালার বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি৷ শান্তিপূর্ণভাবে সে কর্মসূচি পালনও করেছি৷ কারণ, আমরা বিশ্বাস করি অহিংস পরম ধর্ম৷বিএনপি নেতৃত্বাধীন পরবর্তী সব কর্মসূচি অহিংস ও শান্তিপূর্ণ হবে বলেও জানান দলটির শীর্ষ এই নেতা৷
এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল এবং শাহ মো.আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷