দৈনিকবার্তা-২৪,আগস্ট: বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ছেড়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে জাতীয় পাটির সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিই আসল জাতীয়তাবাদী শক্তি।
গতকাল শনিবার বিকেলে ফেনী শহরের মিজান ময়দানে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এ আহ্বান জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে এরশাদ বলেন, আন্দোলনের জন্য ঘোষণা দেন, বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু তারা রাজপথে থাকেন না। তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু কোনো উন্নয়ন করেননি। ‘জেলে থেকে পাঁচ আসনে জয়ী হয়েছি’ উল্লেখ করে বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ছেড়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এরশাদ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, দেশে সন্ত্রাস-দুর্নীতি বেড়েছে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। ঘুষ-দুর্নীতি চাই না, দলীয়করণ চাই না। তিনি বলেন, আমি কবি মানুষ, নূর হোসেন এবং ডা. মিলন কীভাবে মারা গেছেন, জানি না। এগুলো শুনলে আমার কান্না হয়। এখন খুন, গুম নিত্যদিনের ঘটনা। টাকা না দিলে গুম-খুন হয়। সুনামগঞ্জের এক ভদ্রলোক লন্ডন থেকে দেশে এসে তিন মাস নিখোঁজ ছিলেন। এরশাদ বর্তমান সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সময় সন্ত্রাস ছিল না, গডফাদার ছিল না, র্যাব ছিল না, ক্রসফায়ার ছিল না। দলীয়করণ করিনি। এখন র্যাব থাকলেও হত্যা-গুম, সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজি বেড়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। সমাজ দূষিত হয়ে গেছে, দেশ অচল হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটাই। এর চেয়ারম্যান শুধু আমি এইচ এম এরশাদ। জাতীয় পার্টির নামে আর কোনো পার্টি নাই।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক কে বি এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্যে দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ফেনী পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিন, কেন্দ্রীয় জাতীয় মহিলা পার্টির সম্পাদক নাজমা আক্তার, জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা প্রমুখ। সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান।
সভার শুরুতে এইচ এম এরশাদকে একটি সোনার চাবি উপহার দেন ফেনীর মেয়র আলা উদ্দিন। সম্মেলনে মোশারফ হোসেনকে সভাপতি ও কে বি এম জাহাঙ্গীর আলমকে পুনরায় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।