দৈনিকবার্তা,আগস্ট ২৪: ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া কোলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ১৯৫১ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, তাদের ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশ তাদের না ফেরালে সামরিক অভিযানের হুমকিও দেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ তিনি বলেন, মমতা নিজে বলুন, তিনি অনুপ্রবেশ কারীদের রক্ষা করছেন, আশ্রয় দিচ্ছেন বা সমর্থন করছেন কিনা। তিনি যদি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি তার সমর্থন রয়েছে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দেশদ্রোহের মামলা করবে।
বাংলাদেশি বিতাড়নের বিষয়ে মোদী সরকারের সমর্থন রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তোগাড়িয়া বলেন, সেটা সরকারকে জিজ্ঞেস করুন। আমি কোনো মন্তব্য করবে না।
এদিকে, তোগাড়িয়ার এই মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ অভিহিত করে সিপিএম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, প্রবীণ তোগাড়িয়ার মতো লোকেরা যে রাজনীতির ধারক-বাহক, সেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি, সংখ্যাতত্ত্বের কোনো জায়গা নেই। সামনেই পুজো এবং ঈদ। গ্রাম-বাংলা এবং শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইছে এই সব সাম্প্রদায়িক উন্মাদরা।
তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না নেয়ারও সমালোচনা করেন সেলিম।
তৃণমূল সংসদ সদস্য সুলতান আহমেদ অবশ্য মনে করেন, তোগাড়িয়ার মতো মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। এই সব সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় কোনো লাভ হবে না।
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিং বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো। তবে, বিষয়টি নিয়ে অন্য কারও মন্তব্যের উপর আমি মন্তব্য করব না।
রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্যের সতর্ক মন্তব্য, আমাদের সীমান্ত সমস্যা মানুষ বোঝেন। কোনো সমস্যা থাকলে তা আমাদের মতো করে সমাধান করতে হবে।
বিজেপি নেতা নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নির্বাচনী প্রচারে অনুপ্রবেশ নিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিলেন। তোগাড়িয়ার মন্তব্য তারই ধারাবাহিকতা বলে অনেকেই মনে করছেন।